কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ২১ পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা
মাদারীপুরে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ৬৮ বছর ধরে বসবাস করে আসা ২১টি পরিবারকে উচ্ছেদচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। তারা জাল দলিল আর ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের উত্তর কাউয়াকুড়ি গ্রামের নিরীহ পরিবারগুলোকে হয়রানি করছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, কেন্দুয়ার উত্তর কাউয়াকুড়ি গ্রামে ৪৭নং উত্তর কাউয়াকুড়ি মৌজায় ১৯৫২ সালে ১ একর ৫৭ শতাংশ এবং ১৯৬২ সালে ২২ শতাংশ জমি কিনে বসতি গড়েন ছমিরা হাওলাদার, সেকান্দার মাতুব্বর, বাদশা মাতুব্বর, জলিল মাতুব্বার ও গফুর মাতুব্বর। তাদের মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে তাদের সন্তান-স্বজনরা বসবাস করে আসছে। তবে স্থানীয় আলাউদ্দিন মাতুব্বর, সালাউদ্দিন মাতুব্বর ও কালাম মাতুব্বর গংরা ভুয়া দলিল দেখিয়ে তাদের হয়রানি করেন। মামলা করে ওই জায়গা দখলের চেষ্টা করেন। পরে জাল দলিলের বিষয়ে জানাজানি হলে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন আলাউদ্দিন গংরা।
তবে ওই জায়গার কিছু অংশ ভিপি সম্পত্তি হওয়ায় আদালতে সরকারের সঙ্গে ২১টি পরিবারের মামলা চলছে। কিন্তু সম্প্রতি জাল দলিল করা ব্যক্তিরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় সেখানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছেন। তাদের বাঁধা দিলে আনোয়ার মাতুব্বর, তার মেয়ে রিমা আক্তার ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগমকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ধলু মিয়া মাতুব্বর বলেন, আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি ভুয়া জাল দলিল দিয়ে কিছু ব্যক্তি দখলের চেষ্টা করছে। তারা যে দলিল নম্বর দেখিয়েছে সেটা দুধখালী ইউনিয়নের একটি দলিল। যা ভুয়া বলে আদালতে প্রমাণিত। তাও তারা কিছু কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় আমাদের ৬৮ বছরের পুরোনো বাড়িঘর ও গাছপালা দখলের চেষ্টা করছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তবে অভিযোগের ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কামাল হাওলাদার গংদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জজ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসান সোহেল বলেন, মালিকানা নিয়ে আদালতে বিচারাধীন জমি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়ার সুযোগ নেই। এটা আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি কেউ এমন কাজ করে থাকেন অবশ্যই তিনি আইন অমান্য করেছেন।
এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/পিআর