যৌতুক দিতে না পারায় জীবনই দিতে হলো গৃহবধূ জ্যোৎস্নার
মৃত্যুর সঙ্গে আটদিন পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ জ্যোৎস্না বেগম। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তার বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের ঘোড়াদাহ গ্রামে। গত ১৬ জুলাই যৌতুকের দাবিতে ওই গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী রাশেদ মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা।
গৃহবধূ জ্যোৎস্নার বড় ভাই আব্দুল জলিল শেখ বলেন, আমি আমার বোন হত্যার বিচার চাই। শরীরে কেরোসিন ঢেলে নির্মমভাবে আমার বোনকে যারা মেরেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা গরিব বলে সঠিক বিচার থেকে যেন বঞ্চিত না হই।
তিনি বলেন, বড় আশা নিয়ে ধারদেনা করে বছরখানেক আগে বোনের বিয়ে দেই। বিয়ের ছয় মাস পর স্বামী রাশেদের সঙ্গে বড় আকারে ঝগড়া হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিলমিশ করে দেন। তারপরও মাঝে মধ্যে টাকার জন্য জ্যোৎস্নাকে নির্যাতন করতো রাশেদ ও তার পরিবার।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, আমরা ঘাতক রাশেদসহ আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বি কে সিকদার সজল/বিএ