চুয়াডাঙ্গায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে যুবক-যুবতীর মর্মান্তিক মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর পানি পরিষ্কার করতে নেমে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাজার পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মুদি দোকানি এরশাদুল ইসলামের মেয়ে আসমা খাতুন (১৬) এবং একই উপজেলার কালিয়াবকরি গ্রামের মতলেব মন্ডলের ছেলে দোকান কর্মচারী হাসিবুল ইসলাম (২৭)।
স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার এরশাদুল ইসলাম একজন মুদি দোকানি। বাড়ির সাথেই তার দোকান। বাড়ির একাংশে নতুন করে নির্মাণ করছেন সেপটির ট্যাংক। দু’দিনের টানা বৃষ্টির পানি ওই ট্যাংকে জমে গিয়েছিল। এরশাদুল ইসলামের মেয়ে আসমা খাতুন পানি পরিষ্কার করতে বিকেল সাড়ে ৪টায় ট্যাংকের ভেতরে নামে। সেখানে নামার পর তার কোনো সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় খোঁজ নিতে দোকানের কর্মচারী হাসিবুল ইসলামও ট্যাংকে নামে। পরে দু'জনের কোনো সাড়া না পেলে স্থানীয়রা দর্শনা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ট্যাংকের ভেতর থেকে দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, সেপটিক ট্যাংকের ভেতর বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। ওই গ্যাসের কারণে সেখানে অক্সিজেন না থাকায় দম বন্ধ হয়ে তাদের দু'জনের মৃত্যু হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতর অক্সিজেন না পেয়ে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে।
সালাউদ্দীন কাজল/এমএএস/এমকেএইচ