ডিম থেকে একে একে বেরিয়ে এলো ২২ অজগরের বাচ্চা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ০১:৪৩ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২০

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে ডিম থেকে অজগরের ২২টি বাচ্চা ফুটেছে। আরও ৯টি ডিম থেকে বাচ্চা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। নিয়ে সেবা ফাউন্ডেশনে পঞ্চম বারের মতো ডিম এবং চতুর্থ বারের মতো বাচ্চা দিল অজগরটি।

বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব জানান, ২০০৩ সালের দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় ছাগল খাওয়ার কারণে গ্রামবাসীর হাতে আটক স্ত্রী অজগরটি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে রাখা হয়। এরপর ২০০৪ সালে প্রথম অজগরটি ৩২টি ডিম দেয় এবং ডিম থেকে বাচ্চা আসে। এরপর ২০০৭ সালে আবারও ২৯টি ডিম দেয় অজগরটি। কিন্তু সে বছর ডিম থেকে বাচ্চা ফোটেনি। সব ডিম নষ্ট হয়ে যায়। এরপর ২০১১ সালে আবারও ৩০টি ডিম দেয় এবং ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। ২০১৯ সালে ৩১টি ডিম দেয় এবং সেখান থেকে ২২টি বাচ্চা পাওয়া যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২৮ মে ৩১টি ডিম দেয় মা অজগর। সেখান থেকে গত রাত থেকে বাচ্চা ফুটতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্তে একে একে ২২টি বাচ্চা ফুটেছে। বাকি ৯টি ডিম থেকেও বাচ্চা ফোটার আশা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এর আগে সবগুলো বাচ্চাকে বড় হওয়ার পর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এবং সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ বছরও তাই করা হবে।

সজল দেব বলেন, অন্য বছর কিছু কিছু ডিম নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এ বছর মনে হচ্ছে ৩১টি বাচ্চাই পাব। অজগরটি এ পর্যন্ত পাঁচ বার ডিম দিয়েছে এবং চার বার তা থেকে বাচ্চা এসেছে। আমরা তাকে পুরুষ সঙ্গী দিতে পারি না তাই নিয়মিত ডিম দিতে পারে না। মাঝে মাঝে যখন কোনো পুরুষ অজগর ধরে আনি তখন সে সময় দেয়। অবমুক্ত করে দিলে আবার একা হয় যায়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ মনিরুল এইচ খান বলেন, সাপ অন্যপ্রাণী থেকে আলাদা। সাপের বাচ্চা জন্ম নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেই চলতে পারে, খাবার সংগ্রহ করতে পারে। জন্মের পর থেকেই স্বাবলম্বী বলা যায় এবং চাইলে অবমুক্তও করা যায়।

রিপন দে/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।