স্ত্রী-সন্তানকে অজ্ঞান করে র্যাব সদস্যের বাড়িতে চুরি
সিলেট নগরে অভিনব কৌশলে এক র্যাব সদস্যের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যায় কৌশলে খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করা হয়। এরপর চোরের দল বাসায় ঢুকে নগদ অর্থসহ প্রায় তিন-চার লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। অজ্ঞান অবস্থায় ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই র্যাব সদস্যের স্ত্রী ও তিন সন্তান।
ঢাকার উত্তরায় র্যাব-১ এ কর্মরত এএসআই মনজুর আহমদের সিলেট নগরের নবাব রোড এলাকার বাসায় এমন ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার স্ত্রীর জ্ঞান ফিরলেও তিন সন্তানের জ্ঞান এখনও ফেরেনি। ওই চক্র র্যাব সদস্যের বাসা ছাড়াও পাশের এলজিইআরডি সিলেট অফিসে কর্মরত এক কর্মচারীর বাসায়ও চুরি করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাব সদস্য মনজুর আহমদ।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতয়ালি থানার ওসি সেলিম আহমদের নম্বরে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ডাকাতির শিকার মনজুর আহমদের শ্যালক মারুফ আহমদ খান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার কোনো এক সময় বাসার পেছন দিকের গ্রিলের সামান্য অংশ কেটে রান্নাঘরে থাকা খাবারে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয় চোর চক্রের সদস্যরা। রাতে খাবার খেয়ে র্যাব সদস্যের স্ত্রী, তার মেয়ে জাবিন (১১), মাহজাবিন (৮) এবং ছেলে লাবিব (৪) অজ্ঞান হয়ে পড়লে বাসায় ঢোকে চোরের দল। এ সময় বাসায় রাখা নগদ ১ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ প্রায় তিন-চার লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় তারা। শনিবার সকালে তাদের আত্মীয়-স্বজন ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে তারা শঙ্কমুক্ত নন।
র্যাব সদস্য মনজুর আহমদ জানান, মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি ঢাকার উত্তরায় র্যাব-১ এ যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি সিলেটের বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার রাত থেকে তিনি তার স্ত্রী সন্তানদের মোবাইলে কল করলেও কোনো রিপ্লাই না পাওয়াতে আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেন। সবকিছু শুনে শনিবার সকালেই বিমানে সিলেটে আসেন। তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের শারীরিক অবস্থা এখনও পুরোপুরি ঠিক হয়নি।
ছামির মাহমুদ/এফএ/পিআর