মাদরাসার সহকারী সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ
যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গোপালপুর ইছাপুর আমিনিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল আজিম জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) মাদরাসার একটি কক্ষে আব্দুল গফুর এই ঘটনা ঘটান বলে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছে। এরপর থেকে আব্দুল গফুর পলাতক।
স্থানীয়রা জানান, ওই মাদাসার চারজন শিক্ষক রয়েছেন, যাদের চরিত্র ভালো না। তাদের ভয়ে অনেক মেয়ে মাদরাসায় আসতে চায় না। এর আগেও অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক আব্দুল গফুর বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে গ্রামবাসী জানান।
গোগা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, করোনায় মাদরাসা বন্ধ কিন্তু অফিস খোলা থাকায় ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে কক্ষে নিয়ে জোর করে তার শ্লীলতাহানি করেন আব্দুল গফুর। পরে মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে তার বাবা- মায়ের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর মেয়ের বাবা ও গ্রামের স্থানীয় লোকজন মাদরাসায় খোঁজ নিতে গেলে অভিযুক্ত গফুর পালিয়ে যান। এলাকাবাসীর কাছ থেকে ঘটনাটি শোনার পর বিষয়টি শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনাটি শোনার পরপরই বিষয়টি তদন্ত করার জন্য শার্শা থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম বলেন, শুক্রবার এ ব্যাপারে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/৪(খ) ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। অভিযুক্তকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
শনিবার মাদরাসার সুপার মাওলানা আজহার আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাদরাসা পরিচালনার কোনো কমিটি নেই। অ্যাডহক কমিটির জন্য আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে আব্দুল গফুরের কাছে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো. জামাল হোসেন/এমএসএইচ