সৈকতে ভেসে আসছে শত টন প্লাস্টিক বর্জ্য

রিপন দে
রিপন দে রিপন দে মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ১২ জুলাই ২০২০

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসছে প্লাস্টিক বর্জ্য, ছেঁড়া জাল ও জালের সঙ্গে সামুদ্রিক কাছিম। তবে এত বিপুল পরিমাণ জাল ও বর্জ্য কোথা থেকে আসছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কাছিমগুলোকে উদ্ধার করে আবার সমুদ্রে অবমুক্ত করতে কাজ করছেন ‘সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ’ কক্সবাজার জেলা কমিটির সদস্যরা।

সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশের সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ জুলাই) বিকেল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের দিকে ভেসে আসতে থাকে প্লাস্টিক বর্জ্য। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তীরে ভেসে আসতে থাকে টন টন প্লাস্টিক বর্জ্যসহ ছেঁড়া জাল। এসব জালে পেঁচানো অবস্থায় সামুদ্রিক কাছিমও ভেসে আসে সৈকতে। ইতোমধ্যে সেখান থেকে দশটির বেশি সামুদ্রিক কাছিম উদ্ধার করে সাগরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

উদ্ধার কাজে থাকা সেভ দ্যা ন্যাচর অব বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আহমেদ জানান, দড়িয়া নগর পার্ক থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শত শত টন হবে প্লাস্টিক বর্জ্য। যদিও এটা শধু ধারণা করে বলা। শত শত মানুষ প্ল্যাস্টিক সংগ্রহ করছে। সঙ্গে আছে জাল, গাছের গুড়িসহ নানা বর্জ্য। আমরা কাছিমগুলোকে অবমুক্ত করছি। মূলত এদের রক্ষা করার জন্য আমরা স্পটে আছি। তবে প্রশাসনের কেউ নেই।

Plastik-1

সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এত বর্জ্য কোথা থেকে এসেছে তা আমাদের জানা নেই। আমাদের সংগঠনের সদস্যরা এসব বর্জ্যের সঙ্গে বিশেষ করে জালের সঙ্গে আটকা পড়া কাছিম উদ্ধার করে অবমুক্ত করছে। প্রচুর মানুষ এসব বর্জ্যের মধ্যে মূল্যবান বা প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজতে ভিড় করছে। অনেকে তা সংগ্রহ করছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ২০০ নটিক্যাল সমুদ্র সীমায় পর্যাপ্ত নজরদারি নেই। বিদেশি জাহাজ থেকে আমাদের জলসীমায় বর্জ্য ফেলার অভিযোগ থাকলেও সরকার কখনও তাদের শনাক্ত বা শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি। সমুদ্র দূষণ ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কনভেনশনের লঙ্ঘন। তাই আমাদের এখন সমুদ্র কমিশন গঠন করে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা উচিৎ।

এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।