ছেলের পর চলে গেলেন মা মনোয়ারাও
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে সোহাগের মৃত্যুর পর মা মনোয়ারা বেগমেরও (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ২টায় ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার শাহ আলমের ভাড়াটিয়া হারেস মিয়া পরকীয়া সন্দেহে তার স্ত্রীকে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। মায়ের চিৎকার শুনে ছেলে সোহাগ ঘুম থেকে উঠে বাবার হাত থেকে মাকে বাঁচাতে যায়।
তখন হারেস ক্ষীপ্ত হয়ে তার হাতে থাকা ছোরা দিয়ে ছেলে সোহাগের পেটে আঘাত করেন। স্ত্রী-সন্তানকে ছুরিকাঘাতের পর ছুরি দিয়ে নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরে স্থানীয় লোকজন তিনজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী-স্ত্রীকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় আহত মনোয়ারা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান। এদিকে হারেসের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ