ঝিনাইদহে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে হাজার হাজার গ্রাহক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২০

ঝিনাইদহে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রাহক। লকডাউনে মিটার ও রিডিং না দেখে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। এ সমস্যা সমাধান করে সঠিক বিল করার দাবি ভুক্তভোগীদের।

তবে বিদ্যুৎ অফিসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্ধারিত দিনের পর বিল পরিশোধ করায় অনেক গ্রাহকের বকেয়া বিল পরবর্তী বিলের সঙ্গে যোগ হয়ে গেছে। এমন সমস্যা যাদের হয়েছে তারা অফিসে এসে বিল ঠিক করে নিতে পারবেন।

বিল নিয়ে সব চেয়ে বেশি অভিযোগ পল্লী বিদুৎ সমিতির গ্রাহকদের। শত শত গ্রাহক তাদের আগের মাসের বিল ও বর্তমান মাসের বিলের টাকার পার্থক্য জানিয়েছেন। দুই মাস আগেও যাদের ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বিল এসেছে চলতি মাসে তাদের ৪০০ থেকে দুই হাজার টাকা বিল এসেছে।

এ অবস্থায় বিলে ত্রুটি থাকলে পরবর্তী মাসে সংশোধন করে দেয়া হবে বলে গ্রাহকদের মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়েছে ঝিনাইদহের ওয়েস্ট পাওয়ার জোন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেড। তবে বিল সংশোধন করে দেয়া হবে গ্রাহকদের মৌখিকভাবে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় ওজোপাডিকোর এক লাখ ২৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এসব উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার। এরই মধ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রাহক। বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কর্মহীন ঘরবন্দি স্বল্পআয়ের মানুষ।

গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটার ও রিডার না দেখে বিদ্যুৎ অফিসে বসে বিল তৈরি করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যে কারণে দুই থেকে তিন গুণ বেশি বিল দিতে হচ্ছে। করোনায় আয়-রোজগার না থাকায় বাড়তি বিল দিতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ। প্রতিদিন বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইন দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। সেখানেও হয়রানির শিকার হন তারা।

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি ঝিনাইদহের ওয়েস্ট পাওয়ার জোন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র সরকার।

তবে ওজোপাডিকোর কালীগঞ্জ উপজেলার আবাসিক প্রেকৌশলী মতিয়ার রহমান বলেন, আমাদের কাছে এরকম একটি অভিযোগ এসেছিল। আমি মিটার ও রিডিং দেখতে লোক পাঠিয়েছি। সমস্যা থাকলে সমাধান করে দেয়া হবে। বিলে সমস্যা থাকলে অফিসে এসে সমাধান করে নিয়ে যাবেন গ্রাহকরা। এটি পরবর্তী মাসের বিলে সমন্বয় করা হবে।

ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুর রব বলেন, করোনাকালে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। বিলে সমস্যা থাকলে গ্রাহকরা অফিসে এসে ঠিক করে নিতে পারবেন। গ্রাহক ঠিক না করলেও মিটার ও রিডিংয়ের বেশি বিল গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনোভাবে নেয়া হবে না।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।