ইমাম নিয়োগ নিয়ে বিরোধে মসজিদ সভাপতির বাড়িতে আগুন
ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দক্ষিণ আবুপুর মিয়াজি বাড়ির রুহুল আমিন মাস্টারের ছেলে মো. আশরাফ আলী রুমন (৩২), একই বাড়ির মাওলানা জিয়াউল হকের ছেলে আবুল কাশেম ফোরকান (৩৮) এবং ভূঁইয়াবাড়ির মনির আলীর ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম বাবলু। তারা স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে ইমাম। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছেন তারা।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক হাবিব মিয়াজি বলেন, আমার বাবা খোরশেদ আলম স্থানীয় বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর স্থানীয়রা আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেন। এতে একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়। সম্প্রতি মসজিদের ইমাম নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের মতবিরোধ দেখা দেয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২২ জুন রাতে আমার বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় ঘরের নিচতলায় থাকা একটি মোটরসাইকেল, বৈদ্যুতিক বোর্ড ও পানির লাইন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরদিন সকালে ফেনীর পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফেনীর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি এএন নুরুজ্জামান বলেন, তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তারা।
তিনজনকে গ্রেফতারের পর শনিবার (০৪ জুলাই) এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) খোন্দকার নুরুন্নবী। এ সময় তিনি বলেন, ২২ জুন শর্শদি ইউনিয়নে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতারকৃতরা। গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন রুমন অগ্নিসংযোগের মূল পরিকল্পনা করেছেন। ফোরকান ঘরের ভেতরে অগ্নিসংযোগ করেন। বাবলু পেট্রল সংগ্রহ করে অপর দুইজনকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে মিয়াজি বাড়িতে অগ্নিসংযোগে অংশ নেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাশেদুল হাসান/এএম/জেআইএম