মেয়ে হত্যা মামলায় কারাবন্দী বাবার মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দেড় বছরের মেয়ে ফারহানা আক্তার রাহিমাকে হত্যার অভিযোগে কারাবন্দী ফয়েজ আহাম্মদ মনু মারা গেছেন। সোমবার (২৯ জুন) রাতে বুকে ব্যথা উঠলে তাকে জেলা কারাগার থেকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিজ মেয়ে হত্যা মামলার আসামি ফয়েজের বুকে ব্যথা উঠলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আসামি ফয়েজ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।
সূত্র জানায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে চলতি বছরের ৫ মে ফয়েজ তার মেয়ে রাহিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নির্জন এলাকায় ঝোপের ভেতর লুকিয়ে রাখেন। একইদিন রাতে তিনি নিজেই মেয়ে নিখোঁজ মর্মে থানায় জিডি করেন। গত ৮ মে মধ্যরাতে মেয়ের মরদেহটি ঝোপের ভেতর থেকে উদ্ধার করে নিজবাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। ৯ মে সকালে নিজেই থানায় জানান সেপটিক ট্যাংকে তার মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে।
১১ মে সকালে পুলিশ ফয়েজকে আটক করে। পরে মেয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী রাশেদা বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন। একই দিন দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেয়েকে খুনের দায় স্বীকার করে ফয়েজ জবানবন্দি দেন।
কাজল কায়েস/আরএআর/পিআর