শিক্ষা বোর্ডের ভুলে ফেল দেড়শ শিক্ষার্থী
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ভুলে যশোর বিসিএমসি কলেজ ও মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পঞ্চম পর্বের ১৫০ জন শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা সব পরীক্ষায় অংশ নিলেও দুই বিষয়ে ফলাফল যোগ না হওয়ায় তারা অকৃতকার্য হয়েছেন। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে দুইটি পরীক্ষায় উপস্থিতির স্বাক্ষরখাতা শিক্ষা বোর্ডে না পাঠানোয় তারা ফেল করেছেন। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে রোববার দুপুরে তারা মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
যশোর কালেক্টরেট চত্বরে মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, তারা যশোর বিসিএমসি কলেজ ও মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ষষ্ঠ পর্বের ছাত্র। তাদের ফেব্রিক্স ম্যানুফেক্সারিং-৩ এবং ক্লোডিং-১ পরীক্ষা হয়েছিল যশোর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ২১ অক্টোবর। সেখানে অংশগ্রহণকারী ১৫০ শিক্ষার্থীর ফলাফল অকৃতকার্য এসেছে।
তখন তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের খাতা বা হাজিরা খাতা কারিগরি বোর্ডে পাঠানো হয়নি। এজন্য এর প্রতিকার পেতে মানববন্ধন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর বরাবর স্মারলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষার্থীদের বক্তব্য পুরোপুরি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন যশোর বিসিএমসি কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান রিপন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ভুল তথ্য দিয়ে কর্মসূচি পালন করছে। হাজিরা খাতা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বোর্ডে পাঠানো না হলে ফলাফল অপ্রকাশিত থাকবে। কিন্তু তাদের ফেল দেখানো হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ফলাফল তৈরি করার সময় দুটি বিষয়ের নম্বর যোগ করেনি। কলেজ থেকে শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করা হয়েছে। সংশোধিত ফলাফল দ্রুতই প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে।
মিলন রহমান/এসএস/আরআইপি