বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে ফসলি জমি ও বাঁধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ২৬ জুন ২০২০

নওগাঁর বদলগাছীতে ছোট যমুনা নদীর বালুমহালে নির্দিষ্ট দূরুত্ব না রেখে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির নিচ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি। বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন কৃষকরা।

জানাগেছে, বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদীর পূর্ব পাশে ডাঙ্গীসারা মৌজায় গত ২২ জুন থেকে বালু উত্তোলন করছেন বালু ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন, শাহিন ও হিরুসহ কয়েকজন। তাদের দাবি জেলার ধামইরহাট উপজেলার মফিজ উদ্দিনের কাছ থেকে এ বছর সাবলিজ নিয়েছেন তারা। ড্রেজার মেশিন স্থাপনের দিনই ফসলি জমি রক্ষায় এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও রক্ষা হয়নি। যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তার আশপাশেই রয়েছে ফসলি জমি। ড্রেজার মেশিন দিয়ে গভীর করে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি। এছাড়া বালু বহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর চলাচল শুরু হলে বাঁধের রাস্তাও হুমকির মুখে পড়বে। গত বছরের বন্যায় বাঁধের রাস্তাটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে বাঁধটিও।

বালুমহাল সাবলিজ নেয়াদের মধ্যে একজন ফারুক হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন মূল ইজারাদারের কাছ থেকে বালুমহালটি সাবলিজ নিয়েছি। এখানে প্রায় ৭৫ বিঘার মতো সরকারি জায়গা রয়েছে। আশপাশের লোকজন ও কৃষকদের বুঝিয়েছি। কারো জমি থেকে এবং ক্ষতি করে বালু ওঠানো হচ্ছে না।

জমির মালিক মুক্তিযোদ্ধা সুলতান রেজা খান বলেন, গত কয়েকদিন থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আমি ঢাকায় থাকায় বিষয়টি বুঝতে পারিনি। যেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেটা সরকারি জমি এবং আমার জমির আইলের নিচে। কোনো দূরুত্ব না রেখে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর এইভাবে যদি বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে আমার জমিটা বিলীন হয়ে যাবে। এতে আমার প্রায় পৌনে দুই বিঘা ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাবে।

চকজয়দেব গ্রামের কৃষক মোফাজ্জল হোসেন ও রনিসহ কয়েকজন বলেন, কোনো নিয়মকানুন না মেনে ব্যক্তি মালিকানার জমির নিচ থেকে বালু ওঠানো হচ্ছে। আগে কখনোই এভাবে এখান থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ওঠানো হয়নি। এভাবে বালু ওঠানো হলে ফসলি জমির ধস নেমে যাবে। এ জমিগুলোতে আলু, পটল ও পাটের আবাদ হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু তাহির বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সম্প্রতি বালুমহালগুলোর ইজারা প্রদান করা হয়েছে। তবে বালুমহালের যে নির্দিষ্ট বেড়িফেরি রয়েছে সেখান থেকেই বালু ওঠানোর নিয়ম। যদি কেউ এর অনিয়ম করে থাকে তাহলে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে জরিপ করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আব্বাস আলী/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।