ফেনীতে ডাকাত-পুলিশ গোলাগুলিতে নিহত বেড়ে ৪
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে গোলাগুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। এর আগে তিনজন নিহতের কথা জানিয়েছিল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভোরে উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত বেকের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চারজনের মধ্যে একজন নৈশপ্রহরী, বাকি তিনজন ডাকাত দলের সদস্য। নিহত নৈশপ্রহরীর নাম আবদুল মান্নান (৪০)। নিহত ডাকাতেরা হলেন বরগুনার দুলাল মাতব্বর (৪৫), বাবুল মোল্লা (৪০) ও নওগাঁর মো. বিদ্যুৎ (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের বেকের বাজারের শরিয়ত অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে মাল ট্রাকে তুলতে শুরু করে ডাকাত দল। এ সময় বাজারের নৈশপ্রহরী আবদুল মান্নান ঘটনাটি দেখে চিৎকার শুরু করলে ডাকাতেরা নৈশপ্রহরীকে ধাওয়া করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
এ সময় বাজারের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির কথা জানানো হয়। স্থানীয় দোকানিরা ও আশপাশের লোকজন ডাকাতদের ঘেরাও করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে দাগনভূঞা থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। ধাওয়া দিলে ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পাল্টাপাল্টি গুলিতে এক ডাকাত ঘটনাস্থলে নিহত এবং তিন ডাকাত গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে একজন মারা যান। পরে সেখান থেকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে আরেক ডাকাত মারা যান। বাকি আরেক ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, দুটি ছুরি, ডাকাতির সরঞ্জাম ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম সিকদার বলেন, নৈশপ্রহরীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। বর্তমানে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাশেদুল হাসান/এএম/এমকেএইচ