ফজলু মিয়াকে আনতে গেছে তার মামারা


প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৫

কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি না হয়েও ২২ বছর সিলেট কারাগারে বন্দি জীবন কাটিয়ে সদ্য জামিনে বের হয়ে আসা ফজলু মিয়া জামালপুর থেকে যাওয়া তার দুই মামাকে চিনতে পেরেছে।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক বৃহস্পতিবার ফজলুর পরিবারের সদস্যদের সিলেটে অবস্থানরত ফজলুর সঙ্গে এই ফোনালাপ করিয়ে দেন। এরপর ফজলুর দুই মামা আব্দুল ছাত্তার এবং মফিজ উদ্দিন তার সঙ্গে সিলেটে দেখা করতে যান।  

ফজলু মিয়ার নানা মৌলভী হাসমত উল্লাহ জানান, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান সিলেটে অবস্থানরত ফজলু মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেন। এরপর ফজলু মিয়া পরিবারের সদস্যদের চিনতে পারছে বলে নিশ্চিত করলে ফজলুর মামা আব্দুস ছাত্তার এবং মফিজ উদ্দিন দেখা করতে সিলেটে যান। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ফজলুর জিম্মাদার তেতলী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কামাল উদ্দিন রাসেলের বাড়িতে পৌঁছে তারা ফজলুর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় ফজলু প্রায় ২৫ বছর পর দেখা হওয়া মামা আব্দুস ছাত্তার এবং মফিজ উদ্দিনকে চিনতে পারে। পরে এই খবর জামালপুরের জেলা প্রশাসক এবং জামালপুরে অবস্থানরত ফজলুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জানায় সিলেটে যাওয়া ফজলুর মামা আব্দুস ছাত্তার। এখন ফজলু মিয়াকে জামালপুরে তার নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে আগামীকাল শনিবার সকালে ফজলুর মা মজিরন বেওয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সিলেটের সুরমা থানার ধরাধরপুর এলাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন বলে জানান তিনি।  

এ ব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, সিলেটে ফজলুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া তার দুই মামাকে চিনতে পেরেছে বলে জানতে পেরেছি। এখন কিছু আইনগত বিষয় রয়েছে, সেগুলো মিটে গেলেই ফজলুকে জামালপুরে ফিরিয়ে আনা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।