৩৬শ টাকা বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ১০:০২ পিএম, ১২ জুন ২০২০
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে এক যুবলীগ নেতার বাবার মারধরে সিরাজ মিয়া (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। সাবেক বাড়ির মালিকের বাসা ভাড়ার বিদ্যুতের বিলের বকেয়া টাকা দাবি করে মারধর করার পর সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়।

শুক্রবার (১২ জুন) বিকেলে ফতুল্লার জামতলা হাজী ব্রাস রোডে এঘটনা ঘটে। নিহত সিরাজ মিয়া মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আনারপুরি গ্রামের কালা চাঁনের ছেলে।

নিহত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে শহরের জামতলার হাজী ব্রাদার্স রোডের সুজন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

নিহত সিরাজ মিয়ার মেয়ের জামাতা জসিম উদ্দিন বলেন, ৬/৭ বছর আগে জেলা যুবলীগ নেতা ফয়েজ উল্লাহর বাবা শাহ জাহানের বাড়িতে ভাড়া ছিলেন তার শ্বশুর। তখন বাড়িওয়ালার সঙ্গে পাওনা পরিশোধ করে আরেক বাড়িতে বাসা ভাড়া নেয় আমার শ্বশুর।

সম্প্রতি শাহজাহান মিয়া ৩৬শ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে দাবি করে আমার শ্বশুরকে বিরক্ত করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চাষাঢ়া থেকে হেঁটে বাসায় আসার পথে শাহ জাহান মিয়া তার বাড়ির কাছে আমার শ্বশুরকে একা পেয়ে থামিয়ে মারধর করে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত। এসময় আমার শশুর সিরাজ মিয়া মাটিতে পড়ে গেলে শাহ জাহান মিয়া পালিয়ে যান।

পরে পথচারীরা আমার শ্বশুরকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তারপর খবর পেয়ে আমিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে বাসায় নিয়ে আসি। বাসায় এনে আমার শ্বশুরের পেটে, পিঠে ও মাথায় লাঠির আঘাত দেখতে পাই। অনেক স্থানে রক্ত জমাট বেঁধেছে। মাথার পেছনের দিক লাঠির আঘাতে ফুলে গেছে। এরপর শুক্রবার বিকেলে আমার শশুরের মৃত্যু হয়। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর নিহতের স্ত্রী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। আর এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ করে আসামি গ্রেফতার করা হবে। ঘটনার পর আসামি পলাতক রয়েছে।

শাহাদাত হোসেন/এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।