এগিয়ে আসেনি কোনো আত্মীয়, লাশ সৎকার করল পুলিশ-কাউন্সিলর

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০১:০৯ এএম, ১২ জুন ২০২০

ঢাকার ধামরাই পৌরসভার কায়েতপাড়া এলাকায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পাখি মন্ডল (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর তার মরদেহ সৎকারে কোনো আত্মীয়স্বজন এগিয়ে না আসায় ধামরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সহায়তায় মৃতের সৎকার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে পাখি মন্ডল বাড়িতেই মারা যান।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধামরাই পৌরসভার কায়েতপাড়ার দীপক রায় মল্লিক নামে এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে এক সপ্তাহ আগে মারা যান। এরপর তার বাড়ির গৃহপরিচারিকা পাখি মন্ডলও ঠান্ডা, জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন। সকালে তিনি মারা যান। কিন্তু তার কোনো আত্মীয়স্বজন লাশ দাহ করতে এগিয়ে আসেনি।

পরে বিকেলে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে বিষয়টি জানান। এরপর ওসির নির্দেশে থানার এসআই খাইরুল ইসলাম, ধামরাই উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন, পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ও ধামরাই পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রাণ গোপালের সহায়তায় কায়েতপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে পাখি মন্ডলের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় শ্মশানে সৎকার করা হয়।

ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় মরদেহের সৎকার করতে তার কোনো আপনজন এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে আমার পুলিশ, পৌর কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতার সহযোগিতায় লাশ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।’

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ধামরাই উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিন সাংবাদিক, ২৯ পুলিশ সদস্য, ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী, ৫ ব্যাংকার, ১২ পোশাক কর্মীসহ ২৬৪ জন। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ জন সুস্থ হয়েছেন এবং চারজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। অন্যরা বাড়ি থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আল-মামুন/এফআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।