নিজ গ্রামে বাধা, উপ কর কমিশনারকে শ্বশুরবাড়িতে দাহ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া উপ কর কমিশনার শুধাংশ সাহার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় দাহ করতে দেয়নি গ্রামবাসী। পরে প্রশাসনের সহায়তায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে তাকে দাহ করা হয়েছে।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (৯ জুন) বিকেলে উপজেলার পাড়াগ্রামে শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক শ্মশানে শুধাংশ সাহার মরদেহ দাহ করা হয়। করোনায় আক্রান্ত তার স্ত্রী ও সন্তান ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় দাহ কার্যে পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিল না।
করোনায় মারা যাওয়া শুধাংশ সাহা ঢাকায় কর অঞ্চল-৩ এর উপ কর কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শুধাংশ সাহার স্ত্রী মানসী দাশ বলেন, শুধাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার (৮ জুন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার গাড়ামাসি গ্রামে। গ্রামের বাড়িতে শুধাংশের মরদেহ দাহ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় গ্রামের লোকজনের বিরোধিতায় সেখানে দাহ করা সম্ভব হয়নি। পরে আমার বাবার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের পাড়াগ্রামে পারিবারিক শ্মশান ঘাটে তার দাহ সম্পন্ন হয়। তবে সেখানেও দাহ করার বিষয়ে গ্রামের লোকজন রাজি ছিল না। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় মরদেহ দাহ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ও আমাদের ছয় বছরের মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছি। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাসা লকডাউন করা হয়েছে। বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না। মৃত্যুকালে আমার স্বামীর কাছে যেতে পারিনি। তার শেষকৃত্য দেখতে পারিনি। আমার মেয়েটিও তার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেল না।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, করোনায় আক্রান্ত কর অঞ্চল-৩ এর উপ কর কমিশনার শুধাংশ সাহার মরদেহ তার শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক শ্মশান ঘাটে দাহ করা হয়েছে। যদিও গ্রামের কতিপয় লোকজন এতে বিরোধিতা করেছিল। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বুঝিয়ে মরদেহ দাহ করা হয়। তবে দাহ কাজে শুধাংশের স্ত্রী সন্তান কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/পিআর