গাইবান্ধার সেই সেতুর সংস্কার শুরু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ০৫ জুন ২০২০

জাগোনিউজ২৪.কমে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে গাইবান্ধার ত্রিমোহনী সেতুর সংযোগ সড়কটি পরিদর্শন করেছেন জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবির ও সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ছবিউল ইসলাম।

শুক্রবার (৫ জুন) দুপুরে গাইবান্ধার কাটাখালী নদীর ওপর প্রায় ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিমোহনী সেতুর সংযোগ সড়ক পরিদর্শন শেষে কাজ শুরু করার কথা নিশ্চিত করেছেন এলজিইডির কর্মকর্তারা।

এর আগে ৩ জুন ২৮ কোটি টাকার সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় জাগোনিউজ২৪.কমে।

গাইবান্ধা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ছবিউল ইসলাম জানান, বৃষ্টিতে ত্রিমোহনী সেতুর সংযোগ সড়ক ধসের সংবাদ প্রকাশের পরে আমরা সেতুটির সংযোগ সড়কটি পরিদর্শন শেষে তৎক্ষণিক সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান কবির জানান, বরাদ্দ না থাকার কারণে এই সেতুর সংযোগ সড়কটি মেরামতে দেরি হয়েছে। আমরা আজ শুক্রবার সেতুটির সংযোগ সড়কটি পরিদর্শন শেষে শ্রমিক দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছি। আগামী তিন দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সংযোগ সড়ক মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে ঢাকা-দিনাজপুরে সড়ক পথে যোগাযোগ সহজ করতে সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় কাটাখালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ শুরু করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। এলজিইডির সবচেয়ে দীর্ঘ এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩৬০.৪০ মিটার। সেতুটি ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার সুরমা এন্টারপ্রাইজ নির্মাণকাজ সমাপ্ত করে। ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা-৪ ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্যরা।

চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃষ্টিতে সেতুর সংযোগ সড়কে প্রথমে এক ফুট ধসে যায়। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এখন সংযোগ সড়ক পুরোটাই ধসের মুখে। একই সঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সংযোগ সড়ক। রাতে যেকোনো গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

জাহিদ খন্দকার/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।