লালমনিরহাট সীমান্তে কিশোরীর কঙ্কাল নিয়ে গেছে বিএসএফ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় পড়ে থাকা অজ্ঞাত পরিচয়ের এক কিশোরীর কঙ্কাল (১৬) নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার সকালে এ ঘটনায় ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যকার পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশি কোনো কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে কিনা তা সম্পর্কে বিজিবির কাছে জানতে চায় বিএসএফ।
এলাকাবাসী জানান, গত মঙ্গলবার সকালে সীমান্তবর্তী পূর্ব সাড়ডুবী গ্রামের কাছে সীমান্তে নো-ম্যান্স ৮৯১নং আন্তর্জাতিক সীমানার মেইন পিলারের কাছে ধান ক্ষেতে একটি কিশোরীর কঙ্কাল দেখতে পান কৃষকরা। অজ্ঞাত কিশোরীর কঙ্কালটি ভারতীয় জমিতে পড়ে থাকতে দেখে বাংলাদেশি সীমান্তবাসীরা সেখান থেকে ফিরে আসেন। পরে রাতে ওই কিশোরীর কঙ্কাল বিএসএফ নিয়ে যায় বলে সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন জানান।
বুধবার সকালে সরেজমিনে গেলে পূর্ব সারডুবী গ্রামের রুবেল মিয়া (৪০), সাফিউল (৩২), অপিছার (৩৫) জাগো নিউজকে জানান, দূর থেকে মরদেহটি দেখে প্রায় কঙ্কালসাড় মনে হলেও পাশে হতভাগ্য ওই কিশোরীর জামা-কাপড় পড়ে ছিল। প্রায় এক মাস আগে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে নো-ম্যান্স এলাকায় কিশোরীর কঙ্কাল পড়ে থাকায় সেটি বাংলাদেশি কিশোরীই হতে পারে বলে ধারণা করছেন সীমান্তবাসীরা।
বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তাফা জামান সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, ওই মরদেহটি ভারতীয় জমিতে পেয়ে বিএসএফ তা নিয়ে গেছে বলে শুনেছি।
দোলাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, অজ্ঞাত ওই নারী কঙ্কাল উদ্ধারের পর ভারতীয় ফুলবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্প নিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশি কেউ নিখোঁজ হয়েছে কিনা জানতে চেয়েছিল। এ নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসীদের কাছে খবর নিয়ে দেখা গেছে যে, গত ২/৩ মাসে অত্র এলাকায় কোনো নারী নিখোঁজ হয়নি।
রবিউল হাসান/এমজেড/আরআইপি