ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, চেয়ারম্যান গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ১১:৪৮ এএম, ০৫ জুন ২০২০
গ্রেফতার ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েস

নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও জাতীয় দলের সাবেক কাবাডি খেলোয়াড় আব্দুল কাইয়ুম সিকদার (৪৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

শুক্রবার (৫ জুন) সকালে কায়েসকে নড়াগাতি থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে যশোরের বেজপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নড়াগাতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন বলেন, ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সিকদার হত্যা মামলার আসামি মাহামুদুল হাসান কায়েসকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ২৬ মে রাত ৯টার দিকে নড়াইলের নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কাইয়ুম সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষরা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে নড়াগাতি থানার কালিনগর এলাকায় আব্দুল কাইয়ুমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে তাকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। কাইয়ুম নড়াগাতির বিলাফর গ্রামের হাসু সিকদারের ছেলে।

এ ঘটনায় নড়াগাতি থানা কৃষক লীগের সভাপতি কলাবাড়িয়া গ্রামের আবুল হাসনাত মোল্যা (৪০) এবং একই গ্রামের আপন দুই ভাই মতিয়ার মল্লিক (৪২) ও সজীব মল্লিককে (২৮) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষরা। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তারা দুটি মোটরসাইকেল যোগে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা সদর থেকে বাড়িতে ফেরার পথে কালিনগর এলাকায় হামলার শিকার হন।

এ ঘটনায় গত ২৯ মে রাত ৮টার দিকে কলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে প্রধান আসামি করে ৪৫ জনের নামে মামলা করেন নিহত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে নাইমুল ইসলাম মিল্টন। এছাড়া মামলায় ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ৪৫ আসামির মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান কায়েসকে গ্রেফতার করা হলো।

অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন নড়াগাতি থানা পুলিশের ওসি রোকসানা খাতুন।

মামলার বাদী নাইমুল ইসলাম মিল্টন জানান, তার বাবা পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। ২০১৩ সালে অবসরে যান। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দলের খেলোয়াড় ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কলাবাড়িয়া ইউপি থেকে মেম্বার নির্বাচিত হন।

হাফিজুল নিলু/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।