কাফনের কাপড় নিয়ে ফেরার পথে যুবলীগ নেতার হামলায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ১২:৫৮ এএম, ৩০ মে ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের হামলায় আহত ব্যবসায়ী আবু নাছের (৩৫) মারা গেছেন।

শুক্রবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। নাছের বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামূড়া গ্রামের আবু শামার ছেলে।

নাছেরের ভাবি রোকেয়া বেগম মুঠোফোনে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাছেরের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে গত ২৩ মে বিকেলে মাদকের কারবারে জড়িত সেজামূড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসার ভূঁইয়া এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রামের মুরব্বি ও যুবকদের নিয়ে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে মাদকবিরোধী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আবু নাছের ওই সভার আয়োজকদের একজন ছিলেন। সভা থেকে সেজামূড়া গ্রামের উপর দিয়ে মাদকের পাচার করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২৭ মে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আবু নাছের সাংবাদিকদের জানান, ২৪ মে সকালে তার দাদি মারা যাওয়ায় কাফনের কাপড় কিনতে স্থানীয় আউলিয়া বাজারে যান তিনি। কাপড় কিনে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় নজরপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে অপেক্ষায় থাকা কাউসারসহ ১২/১৪ জন তার পথরোধ করে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাছেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ২৬ মে নাছেরের বাবা আবু শামা বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা কাউসারকে প্রধান আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান জানান, নাছেরের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে যদি আঘাতজনিত কারণে মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়- তাহলে তার বাবার করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে। অভিযুক্ত কাউসারসহ আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।

আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।