ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীর বিয়ে!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৮:৪০ এএম, ২৯ মে ২০২০
ফাইল ছবি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়ার মধ্যস্থতায় নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীর বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ছেলের নাম মো. আল আমিন (১৫) ও মেয়ের নাম নাছরিন আক্তার (১৪)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে বলিরপুল বাজার এলাকায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ বিয়ে হয়। বিয়ের দেনমোহর সাত লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছে।

নাছরিন আক্তার উপজেলার চর মার্টিন ইউনিয়নের জামাল উদ্দিনের মেয়ে ও আল আমিন চর কালকিনি ইউনিয়নের রুহুল আমিনের ছেলে। তারা চর শামছুদ্দিন জাহেরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন আত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আল আমিন ও নাসরিন তার মাদরাসার শিক্ষার্থী। আল আমিন ২০১৯ সালের জেডিসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আল আমিনের সঙ্গে সহপাঠী নাছরিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঈদের দিন (২৬ মে) তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ আলীকে জানান স্বজনরা। উভয় পক্ষের সম্মতিতে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে চেয়ারম্যান নিজে উপস্থিত থেকে এ বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করেন।

জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া বলেন, বর-কনে উভয়পক্ষের লোকজন আমার কাছে আসে। জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখে বয়স ঠিক থাকায় উভয়পক্ষের সম্মতিতে এ বিয়ে দেয়া হয়েছে।

চরমার্টিন ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী মাকসুদুর রহমান বলেন, জন্ম সনদ অনুযায়ী ও দুই পক্ষের সম্মতিতে আমি বিয়ে পড়িয়েছি। সনদে বয়স বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল কি-না তা আমি জানি না৷ বর-কনে যে নবম শ্রেণিতে পড়ে তা আমাকে কেউ জানায়নি।

এ ব্যাপারে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নেয়া হচ্ছে। সত্যতা মিললে বাল্য বিয়ের অপরাধে বর-কনেসহ সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

কাজল কায়েস/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।