করোনাকালে সাফারি পার্কের জেব্রা পরিবারে নতুন অতিথি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বন্ধ রয়েছে গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। দর্শনার্থী ছাড়া প্রাণহীন সাফারি পার্কে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে পার্কের কোর সাফারিতে থাকা জেব্রা। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকালে জেব্রা পরিবারে নতুন শাবক জন্ম নিয়েছে। আর নতুন শাবক পেয়ে আনন্দে ভাসছে জেব্রা পরিবার। সদ্য জন্ম নেয়া শাবকটি দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখছে পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক সারোয়ার হোসেন জানান, দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য প্রতিষ্ঠালগ্নে পার্কে বেশ কিছু জেব্রা আনা হয়েছিল। দেশীয় আবহাওয়ার সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নেয়ায় গত পাঁচ বছর ধরে জেব্রাগুলো নিয়মিত শাবকের জন্ম দিচ্ছে। নতুন এই শাবক নিয়ে পার্কে জেব্রার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯টি। পূর্বে পার্কে থাকা ১৮টি জেব্রার মধ্যে ৭টি পুরুষ ও ১১টি মাদি ছিল। সদ্য জন্ম নেয়া শাবকটি পুরুষ না মাদি তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শাবক ও তার মায়ের পুষ্টি বিবেচনায় ঘাসের পাশাপাশি ছোলা, গাজর ও ভুষি খাওয়ানো হচ্ছে। এছাড়াও বিশেষ যত্ন নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেব্রা অশ্ব পরিবারের আফ্রিকান স্তন্যপায়ী প্রাণী। যারা স্বতন্ত্র সাদা-কালো ডোরার জন্য পরিচিত। জেব্রার ডোরার এই নকশা প্রত্যেকের আলাদা থাকে। এরা সামাজিক প্রাণী। ছোট দলে দলে পাল তৈরী করে ঘুরে বেড়ায়। জেব্রা সাধারণত আট ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়, ওজন হয় ৩শ কেজি পর্যন্ত। ডোরার পাশাপাশি এদের ঘাড়ে কেশর সদৃশ খাড়া চুল আছে। জেব্রাকে ঘোড়া বা গাধার মত পোষ মানানো যায় না।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, নজরদারি ও বিশেষ পর্যবেক্ষণে এই পার্কের সাফারি জোনের বিভিন্ন বিদেশি প্রাণী থেকে নিয়মিত শাবকের জন্ম হচ্ছে। বিশেষ করে জেব্রার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে পার্কটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি এখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের বিনোদন কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রাণী সরবরাহ করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
শিহাব খান/আরএআর/এমএস