ত্রাণ চাওয়ায় সাংবাদিকতার ছাত্রকে ‘চোর চোর’ বলে পেটানোর অভিযোগ
এলাকার লোকজনের জন্য ত্রাণ চেয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্র চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের পিটুনির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। রাকিব বিন কুদ্দুস নামের তৃতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান ও তার লোকজন তাকে ‘চোর চোর’ বলে প্রকাশ্যে পিটিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর (উত্তর) ইউনিয়নের ছেপাড়া গ্রামের তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন রাকিব বিন কুদ্দুস।
লিখিত বক্তব্যে রাকিব আরও বলেন, গত ২৪ মে বিকেলে গুনাইঘর (উত্তর) ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে এলাকার কর্মহীন লোকজনের জন্য খাদ্য সহায়তা ছাড়াও মসজিদের জন্য অর্থ বরাদ্দের তালিকায় না থাকার বিষয়ে কথা বলায় আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত ও লাঞ্ছিত করা হয়।
তিনি বলেন, আমি বারবার বলেছি, কাকা আমি রোজা রেখেছি, আমাকে মারবেন না। তারপরও কেউ কথা শোনেননি। একের পর এক কিলঘুষি লাথি ও গাছের ডাল দিয়ে চোরের মতো আমাকে পিটিয়েছে। আমি দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করলে ‘চোর চোর’ বলে পিটিয়েছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, আমার অফিসের সামনে এসে ওই যুবক মিথ্যা অভিযোগ করায় তার নিজ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জব্বারের লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। আমি তখন অফিসের ভেতরে ছিলাম। আমার অফিসের সামনে কিংবা ভেতরে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাকিব হাসান বলেন, আমার কাছে অভিযোগ জানিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই যুবক মারধরের শিকার হয়েছে বলে সে মুঠোফোনে জানিয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মো. কামাল উদ্দিন/বিএ