রাজশাহীতে ঢাকাফেরত নারী কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত
রাজশাহীতে এবার এক নারী পুলিশ সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়ে।
করোনা আক্রান্ত ওই নারী কনস্টেবলের বয়স আনুমানিক ২০ বছর। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত ছিলেন। কয়েকদিন আগে বদলি হয়ে তিনি রাজশাহীতে এসেছেন। রাজশাহী আসার পর থেকে তিনি জেলা পুলিশ লাইনে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
রাতে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস ওই নারী পুলিশ সদস্যের করোনা ধরা পড়ার বিষয়টি তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ দিন হাসপাতালে মোট ৯৪টি নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ত্রুটি থাকায় ১০টি নমুনার রিপোর্ট হয়নি। বাকি ৮৪টি নমুনার মধ্যে তিনটি পজিটিভ। বাকি ৮১টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়নি।
আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে একজন রাজশাহী জেলা পুলিশে কর্মরত। অন্য দুইজনের একজনের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামে। আর অপরজন পাবনার সুজানগরের বাসিন্দা। বিষয়টি তিন জেলার সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রামেক ল্যাবে চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন রাজশাহীর বাসিন্দা।একজন পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রাজশাহী শাখার ব্যবস্থাপক। অন্যজনের বাড়ি বাঘা উপজেলায়। আক্রান্ত অন্য দুইজনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে।
নারী কনস্টেবলের করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলমও। তিনি বলেন, যেহেতু ওই নারী পুলিশ সদস্য বাইরে থেকে এসেছেন তাই তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এতে তার করোনা শনাক্ত হলো। এখন তিনি পুলিশ লাইনেই আইসোলেশনে থাকবেন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলবে। তার মাধ্যমে অন্য কেউ যেন আক্রান্ত না হন সেটিও তারা নিশ্চিত করবেন।
এর আগে গত ৪ মে জেলার তানোর থানার এক কনস্টেবল ও এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর করোনা ধরা পড়ে। করোনা জয় করে এরই মধ্যে কাজে ফিরে গেছেন তারা। এরই মধ্যে গত ২২ মে রাজশাহীর মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের এসআই মোশারফ হোসেন (৫৬) মারা যান। তিনি রাজশাহীর আরআরএফে (রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স) কর্মরত ছিলেন। তিনি ডেপুটেশনে নওগাঁয় কর্মরত ছিলেন।
মোশারফ হোসেনের শ্যালক এসআই মিজানুর রহমান নগরীর শিরোইল পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তিনি হাসপাতালে অসুস্থ ভগ্নিপতিকে দেখতে গিয়েছিলেন। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে ফাঁড়িতে কর্মরত ১৮ সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে ফাঁড়ির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
গত ২৬ মে ফাঁড়ির ইনচার্জসহ তার পরিবারের চার সদস্যেরও নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ আসে। এর পরদিন থেকে ফাঁড়ির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে করোনা মোকিবিলায় কাজ করছে রাজশাহী জেলা ও নগর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
ফেরদৌস/এমএএস/বিএ