সাঁকো ভেঙে দুর্ভোগে হাজারো মানুষ
নদীর জোয়ার ও বৃষ্টির পানির স্রোতে ভেঙে গেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত লৌহজং নদীর কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটের বাঁশের সাঁকো। ফলে নদী পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছেন মির্জাপুর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া পার্শ্ববর্তী ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ ওই সাঁকোটি পার হয়ে মির্জাপুর সদরে আসা-যাওয়া করেন।
বুধবার সকালে উজান থেকে নদীতে বেড়ে যাওয়া পানির স্রোতের সঙ্গে প্রচুর কচুরিপনা আাসায় বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া, বহুরিয়া ও উয়ার্শী ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। ওই তিন ইউনিয়নের লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জের ধামরাই ও সাটুরিয়া উপজেলার লোকজন এই সাঁকোটি পার হয়ে মির্জাপুর সদরসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকে। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষকে পাহাড়পুর ব্রিজ ও কুতুববাজার হয়ে তিন কিলোমিটার ঘুরে মির্জাপুর সদরে আসতে হচ্ছে। এতে তাদের যেমন দুর্ভোগ বেড়েছে তেমনি খরচও বেড়েছে।
তারা জানান, মির্জাপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত লৌহজং ও বংশাই নদীর বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২০-২৫টি ব্রিজ নির্মাণ হলেও জনগুরুত্বপূর্ণ কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটে অজ্ঞাত কারণে ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে না। এলাকাবাসী ওই স্থানে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক জানান, কুমুদিনী খেয়াঘাট দিয়ে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এসএম এরশাদ/এফএ/এমএস