আল আমীনের মহানুভবতায় প্রাণে বাঁচল পাখিটি
প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে অন্ধকার রাতে তাল সামলাতে না পেরে গাছ থেকে সড়কে পড়ে যায় মাছরাঙা পাখিটি। বৃষ্টিতে ভিজে দমকা হাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে শেষমেশ ক্লান্ত হয়ে মাটিতে পড়ে যায় সে। জেলা শহরের আব্দুল কাদের সড়কের তরুণ স্বাস্থ্যকর্মী আল আমিন পাখিটির এই অসহায়ত্ব দেখে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। পাখিটিকে প্রথমে গা মুছে খাঁচায় আটকে আলো জ্বালিয়ে কিছুটা উষ্ণ করেন। এতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে আহত পাখিটি।
পাখিটিকে উদ্ধারকারী তরুণ আল আমীন বলেন, মাছরাঙাটি এখন পুরোপুরি সুস্থ। অন্ধকার রাতে বাইরে ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় আমি সকালের অপেক্ষায় ছিলাম। সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি পাখিটিকে অবমুক্ত করেছি।
স্থানীয় সাইফুল ইসলাম বলেন, সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সকল মানুষেরই সকল জীবের প্রতি মায়া থাকা উচিত।
তিনি বলেন, আল আমিন ভাই যদি পাখিটিকে উদ্ধার না করতেন, তাহলে হয়তো পাখিটি আর বাঁচতে পারত না। সারা রাতে তাকে অন্য কোনো প্রাণী আক্রমণ করতে পারত অথবা ঝড়-বৃষ্টিতে সে আরও অসুস্থ হয়ে মারা যেত। পাখিটির বাসায় তার কোনো বাচ্চা আছে কিনা সেটা বলা মুশকিল। যদি বাচ্চা থেকেই থাকে তাহলে আজ যদি এই পাখিটির মৃত্যু হত তাহলে তার নীড়ে থাকা বাচ্চাগুলোরও হয়ত করুণ মৃত্যু হত।
একটি পাখির জন্য তরুণ আল আমিনের এমন মহানুভবতার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এফএ/জেআইএম