পাগলির কোলে ফুটফুটে কন্যা সন্তান, বলতে পারছেন না পরিচয়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৩:০২ পিএম, ১৭ মে ২০২০

রাতে সড়কের পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগলি) এক নারীর (২৫) প্রসব বেদনা ওঠে। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার (১৬ মে) রাত ১১টা ২০ মিনিটে তিনি সেখানে ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী তার নাম চায়না আক্তার বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি ঠিকানা বলতে পারছেন না।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রূপা রায় জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজার সংলগ্ন নড়িয়া-শরীয়তপুর সদর সড়কে মানসিক ভারসাম্যহীন এক প্রসূতি নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে মুঠোফোনে স্থানীয়রা তাকে জানান। পরে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অসুস্থ ওই নারীকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মাতৃসদন নামে (ভোজেশ্বর) একটি ক্লিনিকে ভর্তি করান। কিন্তু সেখানে ওই নারীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, ওই নারী শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সদর হাসপাতালে ফুটফুটে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। ওই নারী ও তার মেয়ে সুস্থ আছেন। আমরা তাদের সব সময় খোঁজখবর রাখছি। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার তাপস বিশ্বাস বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর ওষুধ, পরীক্ষাসহ যাবতীয় খরচ আমরা বহন করবো। গাজীপুরের কাশিমপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রের পরিচালকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সম্পূর্ণ সুস্থ হলে মা ও মেয়েকে সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার পরিচয় বলতে পারছেন না।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহমেদ খান বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ও তার মেয়ে সদর হাসপাতালে আমাদের তত্ত্বাবধানে আছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুজনই সুস্থ আছেন। ওই নারী তার মেয়ের নাম রেখেছেন সিনথিয়া।

ছগির হোসেন/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।