বাগেরহাটে করোনা উপসর্গে নারীর মৃত্যু
ঢাকায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করা এক নারী করোনার উপসর্গ নিয়ে বাগেরহাটে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার উত্তর মাধপকাঠি গ্রামে তিনি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নূরুন নাহার বেগম (৪৮) নামে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহের পর করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করে বাড়িটি লকডাউন করেছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, কচুয়া উপজেলার উত্তর মাধপকাঠি গ্রামের শেখ আমজাদ আলী দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কাজ করতেন। স্বপরিবারে তিনি ঢাকায় থাকতেন। আমজাদের স্ত্রী নূরুন নাহার বেগমও ঢাকায় বাসা বাড়িতে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন। এক সপ্তাহ আগে ওই পরিবারটি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার ভোরে করোনার উপসর্গ নিয়ে নূরুন নাহার বেগম মারা যান।
নূরুন নাহার বেগমের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই নারীর দাফন শেষে বাড়িটি লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে কচুয়ায় আরও এক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তিনি ঢাকার একজন আইনজীবীর ব্যক্তিগত গাড়িচালক। কয়েক দিন আগে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গোপালপুরে এলে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর তাকে কচুয়া উপজেলা হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলে বুধবার রাতে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয় তিনি করোনা পজেটিভ।
বৃহস্পতিবার সকালে কচুয়া উপজেলা প্রশাসন গোপালপুর গ্রামে আক্রান্তের বাড়িসহ ৫টি বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। স্বাস্থ্য বিভাগ নতুন করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
শওকত আলী বাবু/এফএ/পিআর