প্রকাশ হচ্ছে না ফররুখ আহমেদের অপ্রকাশিত গ্রন্থসমূহ
সোমবার কবি ফররুখ আহমেদের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। অথচ যথাযথ উদ্যোগ না থাকায় সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার মাঝাইল গ্রামে অবস্থিত কবি ফররুখ আহমেদের পৈত্রিক বাড়িটি। ১৯১৮ সালের ১০ জুন এখানে জন্মেছিলেন মানবতার কবি ফররুখ আহমেদ।
তার লেখা সাত সাগরের মাঝি, সিরাজুল মুনীর, নৌফেল ও হাতেম, মুহূর্তের কবিতা, পাখির বাসা, হাতেম তায়ী, নতুন লেখা, হরফের ছড়া, ছড়ার আসর প্রভৃতি বইয়ের অনেক কবিতাই সরকারি পাঠ্যপুস্তকে গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পেয়েছে। দেশের স্বনামধন্য কবিদের মধ্যে তিনি একজন। কিন্তু এই মহান কবির গ্রামের বাড়ির স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কোনো উদ্যোগ এখনো পর্যন্ত নেয়া হয়নি। এমনকি জেলা শহরে তার নামে কোনো প্রতিষ্ঠান কিংবা সড়কের নামকরণ পর্যন্ত করা হয়নি। গড়ে তোলা হয়নি কোনো পাঠাগার।
ফররুখ আহমেদের ছোটভাই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মারুফ আহমেদ মাক্কু জাগো নিউজকে বলেন, অনেক কষ্টে গ্রামের বাড়িতে থাকা ভাঙাচোরা ঘরগুলো আঁকড়ে বেঁচে আছেন তিনি। কিন্তু আর্থিক সামর্থ না থাকায় তিনি ঘরগুলো সংস্কার করতে পারছেন না। পাশাপাশি কবির ব্যবহার্য জিনিসপত্রগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। একই কারণে প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না কবি ফররুখ আহমেদের অপ্রকাশিত বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি।
কবির ভক্ত ও দর্শনার্থীদের বাড়িতে ঢোকার জন্য নেই কোনো রাস্তা। অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে যেতে হয় তার বাড়িতে।
ফররুখ আহমেদের গ্রামটি চিহ্নিত করে রাখার জন্য তিন বছর আগে জেলা পরিষদের উদ্যোগে গ্রামে ঢোকার মুখে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেটি এখন ভগ্নপ্রায়।
বাংলা একডেমি, ইউনেস্কো, আদমজী, স্বাধীনতা ও একুশে পদকে ভূষিত এ কবির স্মৃতি রক্ষার্থে তার বাড়িটি সংরক্ষণের পাশাপাশি তার নামে একটি পাঠাগার ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আহ্বান জানান এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীরা। ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর কবি ফররুখ আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন।
মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/এমএস