বান্ধবী ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় এএসআই গ্রেফতার
বান্ধবী ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের সাবেক এএসআই হাসানুর রহমান হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ মে) রাতে খুলনা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সাতক্ষীরায় আনা হয়।
সাতক্ষীরা ডিবির সাবেক এএসআই হাসানুর রহমান হাসান বর্তমানে খুলনার শিল্প পুলিশের এএসআই হিসেবে দায়িত্বরত। তিনি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা।
বান্ধবী ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মামলার বাদী সাতক্ষীরা সদরের বাবুলিয়া গ্রামের রনজিত কুমার আমিনের ছেলে গোপাল চন্দ্র আমিন (৪০)।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৭ মে দুপুর ১টার দিকে বান্ধবী তামান্নাকে নিয়ে বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। শহরের বাঁকাল ইকোপার্কের সামনে পৌঁছালে দুইজন ডিবি পুলিশের লোক পরিচয়ে তাদের থামায়। এরপর হাতকড়া পরিয়ে মারপিট শুরু করে। এসময় এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে তাদের কাছে থাকা মোটরসাইকেলে ও বান্ধবীকে আমার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসে হ্যান্ডকাপ খুলে দিয়ে টাকা জোগাড় করার জন্য ফোন করতে বলে। আমি টাকা জোগাড় করতে ব্যর্থ হলে আমাকে (আমিন) থাপ্পড় মেরে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর আমাকে তাদের পালসার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার সামনে এলে আমি গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে দৌঁড়ে থানার মধ্যে ঢুকে পড়ি। এ সময় পুলিশের দারোগা পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি থানায় না ঢুকে দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক থানায় উপস্থিত সকল পুলিশকে জানানো হয়।
ওদিকে, দারোগা পরিচয়দানকারী অপর ব্যক্তি আমার বাজাজ মোটরসাইকেলে বান্ধবী তামান্নাকে তুলে নিয়ে যায় ও সদর উপজেলা পরিষদের সামনে তাকে মোটরসাইকেল খেকে নামিয়ে দিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনার অভিযোগে দুইজনের নাম উল্লেখ পূর্বক থানায় মামলা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি এএসআই হাসানুর রহমান হাসানের গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসানুর রহমানকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার অপর সহযোগী সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ সাহেদ হাসান অপু। সে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আকরামুল ইসলাম/এমএএস/এমএস