৬ বছর আগের খুনের বদলায় প্রাণ গেল সাবেক চরমপন্থীর
যশোরের অভয়নগরে শেখ আতিয়ার রহমান আতাই (৫৭) নামে সাবেক এক চরমপন্থী সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। তিনি উপজেলার মোয়াল্লেমতলা গ্রামের শেখ ইসমাইলের ছেলে ও স্থানীয় জেজেআই মিলের বদলি শ্রমিক।
সোমবার (১১ মে) সন্ধ্যায় হামলার শিকার হয়ে গভীর রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ‘খুনের বদলা’ হিসেবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
অভয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর আগে নিহত চরমপন্থী নিশানের খালাতো ভাই লিমন ও তার দুই সহযোগী সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির সামনে আতাইকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, ২০১৪ সালের আগে অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট ও খুলনার ফুলতলা উপজেলার উত্তর ডিহি, পায়গ্রাম কসবা ও ফুলতলা বাজার এলাকায় শেখ আতিয়ার রহমান আতাই ও তার শ্যালক গিয়াস উদ্দীন চরমপন্থী দলের সদস্য হিসাবে সক্রিয় ছিল। ওই সময় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে গিয়াস ও আতাইয়ের দলের সদস্যদের হাতে প্রতিপক্ষ চরমপন্থী সদস্য নিশান খুন হন।
নিশান হত্যা মামলায় তার পরিবারের কেউ বাদী না হওয়ায় অভয়নগর থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। এই মামলায় গিয়াস উদ্দীন, শেখ আতিয়ার রহমান আতাইসহ আরও কয়েকজন আসামি ছিল। ওই মামলার পর গিয়াস উদ্দীন ও শেখ আতিয়ার রহমান আতাই ভারতে পালিয়ে যান। পরে সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে নিশান হত্যা মামলা আদালত থেকে খারিজ হয়ে যায়।
এরপর বছর খানেক আগে আতাই দেশে ফিরে আসেন। তিনি বাড়িতে এসে স্থানীয় জেজেআই জুট মিলে বদলি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে জীবনযাপন করছিলেন। এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যা সেই চরমপন্থী সদস্য নিশানের খালাতো ভাই লিমন ও তার সহযোগী কাজী তারেক ও মুন্নার হামলার শিকার হন। স্থানীয়দের ধারণা নিশান হত্যার বদলা নিতে আতাইকে হত্যা করা হয়েছে।
মিলন রহমান/আরএআর/পিআর