টাকা না পেয়ে ফুটফুটে শিশুটিকে মেরে ফেললো অপহরণকারীরা
গাজীপুরে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে এক শিশুকে হতা করেছে দুর্বৃত্তরা। গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার বানিয়ারচালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই শিশুর নাম শারমিন সুলতানা (৬)। সে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নলগাঁও এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে।
শনিবার দুপুরে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জয়দেবপুর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকায় আবুল কালামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন শিশুটির বাবা জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে তিনি একটি খাবার হোটেলের ব্যবসা করতেন। শনিবার সকালে শিশু শারমিন নিখোঁজ হয়। শিশুটির পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এ সময় পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাহাবুব ও রাব্বির কক্ষের টয়লেটে শারমিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত শারমিনের বাবা জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, শনিবার সকালে তাদের পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাহবুব (২৭) ও রাব্বি (২০) তার মেয়ে শারমিন সুলতানাকে অপহরণ করে তাদের ভাড়া বাসায় আটকে রাখে। এক পর্যায়ে তার কাছে মোবাইল ফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। টাকা না পেয়ে তার মেয়েকে হত্যা করা হয়।
ওসি জাহিদুল ইসলাম আরো জানান, নিহত শিশু শারমিন সুলতানার বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মরদেহ অপহরণকারীরা টয়লেটে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনায় মাহবুব ও রাব্বি নামের দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আমিনুল ইসলাম/এফএ/এমকেএইচ