ফেনীতে পাকা ধানে হঠাৎ ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ০৯ মে ২০২০

ফেনীর পরশুরামে ধানখেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। আধাপাকা ধানখেতে এ রোগের প্রাদুর্ভাবে উপজেলার কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদেরকেও ঠিকমত পাচ্ছেন না হতাশাগ্রস্ত কৃষকরা। এমতাবস্থায় তারা বাজার থেকে টুপার ও বাস্টিং ওষুধ ছিটিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এখন পর্যন্ত উপজেলার ১০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেলেও প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত জমির পরিমাণ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবার পরশুরামে ২ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ফলন দেখে কৃষকের মনে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন খেতে ব্লাস্টরোগের সংক্রমণ দেখে তারা এখন অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার কয়েকজন কৃষক খেত থেকে ধান তুলে অফিসে নিয়ে এলে কৃষি বিভাগ এ রোগের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়। কিন্তু শুক্রবার ও শনিবার অফিস বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে মুঠোফোনে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। রোববার মাঠে গিয়ে প্রকৃত অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

কৃষকরা জানান, খেতের ধান এখন প্রায় আধা পাকা অবস্থায় রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হবে। এ মুহূর্তে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাবে ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত জমির পরিমাণ। বাজারে পাওয়া টুপার ও বাস্টিং ওষুধ খেতে ছিটিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের থেকেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তারা।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, উপজেলায় ব্রি ২৮, ২৯ ও ৫৮ জাতের ধানী জমিতে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখা গেছে। শুক্রবার ও শনিবার অফিস বন্ধ। তাই কৃষকরা যথাযথ সহযোগিতা হয়ত পাননি। রোববার কৃষি বিভাগের লোকজন অবশ্যই আক্রান্ত খেত পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, উপজেলার কিছু কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণের কথা শুনেছি। দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণেই এ রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। রোববার মাঠে যাওয়ার পর প্রকৃত আক্রান্ত জমির পরিমাণ বলা যাবে।

রাশেদুল হাসান/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।