করোনার সুযোগে অবাধে চলছে মাছ শিকার
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় যখন ব্যস্ত প্রশাসন তখন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু মৎস্যজীবীরা মাগুরার গড়াই নদীতে মশারি জালের মাধ্যমে শক্ত বাঁধ দিয়ে মাছ ও মাছের রেণু ধরছে অবাধে। এতে ঝুঁকিতে পড়ছে দেশের মৎস্য সম্পদ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবাঁধ বাজার এলাকা থেকে শুরু করে নাকোল ইউনিয়নের রাজধরপুর পর্যন্ত গড়াই নদীতে অসংখ্য মশারি জালসহ বাঁশ ও বাঁশের চটা দিয়ে পাটা তৈরি করে নদীতে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অত্যন্ত ঘন মিহি দীর্ঘ মশারি জাল দিয়ে নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা ঘিরে মাছ শিকার করা হচ্ছে অবাধে। এ প্রক্রিয়ায় মাছ শিকারের ফলে মা মাছসহ মাছের রেণুও ধ্বংস হচ্ছে। বিশেষ করে ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে যখন নদীর পানি শুকিয়ে যায় ঠিক তখনই এক শ্রেণির মৎস্যজীবী বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মাছ ধরতে।
শ্রীপুর উপজেলার ১নং গয়েশপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান লিটু জানান, বৃহত্তর গড়াই এবং মাঝারি কুমার নামে দুটি নদী শ্রীপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রবাহিত। নদীতে এখনও যে পরিমাণ মাছ রয়েছে তা যদি সংরক্ষণ করা হয় তাহলে এলাকার মাছের চাহিদা পূরণ করেও অন্য জেলায় পাঠানো সম্ভব। আর যদি সংরক্ষণ করা না হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে নদীতে আর মাছ পাওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শরীফ হাসান সোহাগ বলেন, গত বছর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ ধরনের পাটা বাঁধ উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অফিস ছুটি থাকায় সব স্থগিত হয়ে আছে। আর সেই সুযোগে পাটা বাঁধ ব্যবহার করে মাছ শিকার করছে অসাধু মৎস্যজীবীরা। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরাফাত হোসেন/এফএ/এমএস