চেয়ারগুলো ফাঁকাই থেকে গেল
চেয়ারগুলো ফাঁকাই থেকে গেল। শনিবার বিকেলে যশোর শহরের টাউন হল মাঠে বাম মোর্চার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল এই স্থানে। কিন্তু, পুলিশ রোডমার্চ দলকে শহরে ঢুকতে না দেয়ায় সেখানে আর সমাবেশ হয়নি।
রামপালের কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে শুরু হওয়া সুন্দরবন অভিমুখি গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার রোডমার্চ বিকাল ৩টায় শহরের প্রবেশদ্বার ভাস্কর্যের মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দেয়। রোডমার্চ শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা মিছিলের চেষ্টা চালালে পুলিশ প্রথমে ধাওয়া করে। এসময় লাঠিচার্জও করা হয়। পরে রোডমার্চটি খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়।
বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করেন, মাগুরাসহ পথে পথে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মাগুরায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বাম নেতাকর্মীদের ওপর। পুলিশের সঙ্গে এই হামলায় অংশ সরকারি দলের ক্যাডাররাও। হামলায় তিনি নিজেসহ মোর্চার অন্তত পাঁচজন কর্মী আহত হন।
তিনি আরও জানান, তাদের দুপুরের খাবার খাওয়ার কথা ছিল ঝিনাইদহে। কিন্তু সেখানে পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের বাঁধায় যেতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নিয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়কের ক্ষণিকা পিকনিক স্পটে খাওয়ার আয়োজন করা হয়। কিন্তু যশোর পুলিশ সেখানেও বাঁধা দেয়। ফলে না খেয়েই চলে যেতে হয় তাদেরকে। এছাড়া রোডমার্চ যশোর শহরের ওপর দিয়ে খুলনার দিকে যাওয়া ও সমাবেশের কথা থাকলেও পুলিশ তা করতে দেয়নি। বরং জোর করে বাইপাস সড়ক ধরিয়ে দিয়েছে।
সাইফুল হক বলেন, এদেশে আইনের শাসনের নামে একদলীয় স্বৈরশাসন চলছে। সুন্দরবন রক্ষা তথা দেশের কোটি কোটি মানুষকে বাঁচানোর জন্য বন-সংলগ্ন রামপালে পরিবেশ বিধ্বংসী বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।
এসময় বামমোর্চার অন্যতম নেতা জুনায়েদ সাকি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা দিয়ে সরকার তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ঝিনাইদহ থেকে তারা মূলত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন। পুলিশ তাদের অজানা গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা দাবি করেন, পুলিশ রোডমার্চে কোনো বাঁধা দেয়নি। বরং রোডমার্চে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। শহরের মধ্যে ঢুকলে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারে আশঙ্কায় বাইপাস সড়ক ধরে রোডমার্চটি খুলনার দিকে পাঠানো হয়েছে।
মিলন রহমান/এমএএস/আরআইপি