নীলফামারীর চারটি বিলুপ্ত ছিটমহলে ভূমি জরিপ চলছে


প্রকাশিত: ০৮:৪০ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৫

সদ্য বিলুপ্ত নীলফামারীর চারটি ছিটমহলে ভূমি জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ জরিপ কার্যক্রম। এ জন্য বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর হাতে তাদের জমির প্রাথমিক খানাপুরি তথ্য ফরম বিতরণ করা হচ্ছে।

সরাসরি মনিটরিং এর কাজে দায়িত্ব পালন করছেন- ডিমলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চন্দ্র রায়। তাদের সহায়তা করছেন জেলা প্রশাসনের ৪ জন কানুনগোর নেতৃত্বে ২৮ জন সদস্য।

সূত্রমতে নীলফামারী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার অভ্যন্তরেরে থাকা সদ্য বিলুপ্ত ১১১টি ছিটমহলে মোট ১৮টি ভূমি জরিপ ওয়ার্কিং টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী জেলার জন্য ৪টি টিম কাজ করছে।

পুরোনো নথিপত্র বিশ্লেষণ এবং দখলের ভিত্তিতেই ওয়ার্কিং কমিটিগুলো প্রাথমিকভাবে এ জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির প্রতিফলন হিসেবে চলতি বছরের গত ৩১ জুলাই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়িত হয়। বিগত ৬৮ বছরে ছিটমহলের কোনো ভূমি ব্যবস্থাপনা ছিল না। সাদা কাগজের দলিলেই জমি কেনাবেচা করা হতো।

এই কাজে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছ থেকে জমির নথিপত্র পেয়েছেন। সাবেক ছিটমহলের ভূমি জরিপকালে এসব নথিপত্রের সঙ্গে প্রধানত দখলের ভিত্তিতে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
ভূমি জরিপের জন্য গঠিত কমিটি বিলুপ্ত ছিটমহলে সরেজমিনে কলমি নকশা তৈরি এবং রেকর্ড অব রাইটস ফরমে দখলের ভিত্তিতে ভূমি মালিকানার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করবে। ফরমে চৌহদ্দি বর্ণনা করে সংশ্লিষ্ট চৌহদ্দিভুক্ত ভূমি মালিকদের সই নেওয়া হবে।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম শুক্রবার বিকালে জাগো নিউজকে জানান, তাকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের  উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে জরিপ কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য ৪ কানুনগোকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের একটি করে চারটি ওয়ার্কিং কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

কানুনগোদের নেতৃত্বে এসব কমিটির সদস্যরা ছিটমহলের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ভূমি জরিপের কাজ সম্পন্ন করবেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন এই কাজের উদ্ধোধন করেন নগর জিগাবাড়ি বিলুপ্ত ছিটমহলের হযরত আলীর বাড়িতে।

তিনি আরো জানান, জরিপ চলাকালে বিরোধীয় জমি-জমার ক্ষেত্রে কারো কোনো আপত্তি থাকলে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউএনও কাছে আবেদন করতে হবে। সেখানে নিষ্পত্তি সম্ভব না হলে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত মনিটরিং কমিটি তা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবেন।

জাহেদুল ইসলাম/এসএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।