সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন করোনায় প্রথম আক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২০

অবশেষে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. চাঁন মিয়া।

পরপর দুবার পরীক্ষা করে তার শরীরে কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় মঙ্গলবার দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

মো. চাঁন মিয়া ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার নন্দিবাড়ী গ্রামের মো. সায়েব আলীর ছেলে।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যান ভৈরব থানায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. চাঁন মিয়া।

উপসর্গ থাকায় একই দিন তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরদিন ১০ এপ্রিল তার শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। ওই দিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ দিকে থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় ১০ এপ্রিল ভৈরব থানায় কর্মরত অপর ৭৯ জন পুলিশ সদস্যকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

জানা গেছে, ৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ পর্যন্ত ১০ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। ৩০ জনের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। অপর ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এখনও পেনডিং আছে।

প্রথম আক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. চাঁন মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। সুস্থ হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে দুবার নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল নেগেটিভ আসায় ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকর রহমান খালেদ বিপিএম জানান, চান মিয়া বর্তমানে সুস্থ। সেখানে ১০ দিন বিশ্রামে থাকবেন। দ্বিতীয় আক্রান্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় নমুনা নেগেটিভ এসেছে বলেও জানান তিনি। তৃতীয় পরীক্ষায় নেগেটিভ আসার পর বাড়ি ফিরে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন করিমগঞ্জ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জনি। এর আগে ২৫ এপ্রিল একই হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ইটনা উপজেলার বেতাগা গ্রামের ইউপি মেম্বার মো. আব্দুর রশিদ।

জেলায় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ১৭৬ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর তাদের নমুনায় কোভিড-১৯ ধরা পড়ে।

নূর মোহাম্মদ/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।