শরীয়তপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে মাঝির মৃত্যু, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে গাছের নিচে চাপা পড়ে জহু আকন (৬০) নামে এক মাঝির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার জপসা ইউনিয়নের জাকির খাঁ কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহু আকন ওই গ্রামের মৃত হযরত আলী আকনের ছেলে।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। তখন জহু আকন তার ঘরের বারান্দায় বসেছিলেন। ঝড়ে হঠাৎ পাশের একটি চাম্বল গাছ ভেঙে ঘরের ওপর পড়লে ঘর ভেঙে গাছসহ জহু আকনের মাথার ওপর পড়ে। তখন তিনি আহত হন। রাত ৮টার দিকে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে শরীয়তপুর শহরের ফাতেমা মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জেলার নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে ছোটবড় অসংখ্য গাছ ভেঙে পড়েছে।
ঝড়ে জাজিরা উপজেলার মির্জা হজরত আলী হাই স্কুলের একটি টিনের ঘর, বিলাশপুর ইউনিয়নের পাঁচটি বসতঘর, নড়িয়া পৌরসভায় চারটি বসতঘর ও ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের ফতেজঙ্গপুর বাজারের চারটি দোকান ঘরসহ জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর ও প্রতিষ্ঠানের ওপর গাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মির্জা হজরত আলী হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মির্জা হজরত আলী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার একটি স্কুল ঘর ভেঙে পড়েছে। এর আগেও একটি ঘর ভেঙে পড়েছিল। স্কুল ঘর ভাঙায় ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুন-উল-হাসান জানান, ঝড়ে যারা ঘরবাড়ি, স্কুল, গাছপালা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পুরোপুরি নির্ধারণ করার পর ত্রাণ কার্যক্রম চালানো হবে। তাছাড়া নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
ছগির হোসেন/আরএআর/এমএস