আহত মুক্তিযোদ্ধার ৪৩ বছর পর মামলা


প্রকাশিত: ০১:০৮ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

পিরোজপুরে গুলিবিদ্ধ আহত মুক্তিযোদ্ধা বিজয় কৃষ্ণ বালা ৪৩ বছর পর মামলা করলেন চার রাজাকারের বিরুদ্ধে। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত মামলার বাদীর দরখাস্ত গ্রহণের প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে আদেশ দেন যে, অত্র মামলা সংক্রান্ত কোনো প্রকার বিচারিক আদেশ প্রদান করার এখতিয়ার এ আদালতের নেই।

তদুপরি নালিশী দরখাস্তে বর্ণিত ঘটনার নিদারুণতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় ন্যায্য বিচারের স্বার্থে এ মামলার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান সমন্বয়ক, তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের আদেশ দেন।

Bijoy-Kisnoমামলার এজাহারে বাদী মোট চারজন আসামি জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব পশারিবুনিয়া গ্রামের যথাক্রমে মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে আমীর হোসেন, সহোদর ফজলুল হক, মৃত শামছুল হকের ছেলে নূরুল আমীন ও মৃত আবুল হাসেমের ছেলে আ. মন্নানকে আসামি করা হয়েছে।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন উক্ত আসামি রাজাকাররা পাক সেনাদের সঙ্গে তাদের দোসর হয়ে বাদীর বাবা নিরোধ চন্দ্র বালাসহ একই বাড়ির ছয়জনসহ মোট ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেন।

বাদী তার আর্জিতে আরও জানান, তাকেসহ ওই কলো রাতে আরও ছয় জনকে আটক করে পশারিবুনিয়া বনমালি গাছারুর বাড়ির পুকুরের দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে পাক সেনারা গুলি করে হত্যা করে। বাদী বিজয় কৃষ্ণ কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে গিয়ে আত্মরক্ষার জন্য পালিয়ে থাকেন। যুদ্ধকালীন সময় পাক সেনা ও রাজাকাররা হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ ও বাড়ি-ঘরে আগুন ও লুটপাট চালান বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার ১নং আসামি রাজাকার আমীর হোসেন পরবর্তীতে পিরোজপুর রূপালী ব্যাংকে চাকরি নেন। বাদী জানান, ওই আসামি যুদ্ধকালীন অস্ত্র এখনো জমা দেননি। বর্তমাসে তিনি অবসরে এবং পলাতক রয়েছেন।

Bijoy-Kisno-asami

এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।