রাজন হত্যা : বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে আসছেন কামরুল


প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৫

সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে নিয়ে ইন্টারপোলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে ফিরছেন তিন পুলিশ কর্মকর্তা। কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গত ১২ অক্টোবর সৌদি আরব গিয়েছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের তিন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ পুলিশের সদর দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেসনোটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্র্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে নিয়ে তিন পুলিশ কর্মকর্তা সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ বিমানের বিজি ৪০বি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবেন।

তিন সদস্যের ওই দলে রয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ ও সহকারী কমিশনার আ ফ ম নিজাম উদ্দিন। এর আগে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

ইন্টারপোলের নিয়ম অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অপরাধী বিনিময়ের বিধান রয়েছে। তবে, আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ করার আনুষ্ঠানিকতার কারণেই কামরুলকে হস্তান্তরে দেরি হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।

গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে ভ্যান চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর সৌদি আরব পালিয়ে গিয়ে গত ১৩ জুলাই আটক হন কামরুল।

কামরুল ছাড়াও রাজন হত্যা মামলার বাকি আসামিরা হলেন, মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ, পাভেল আহমদ, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল­াহ ও আয়াজ আলী।

রাজনকে পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ও গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে সরব হলে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। এর মধ্যে মুহিদের ভাই সৌদি প্রবাসী কামরুলের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি সৌদি পালিয়ে যান। কিন্তু ১৩ জুলাই সৌদি প্রবাসীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।