করোনা আতঙ্কে আসেনি কেউ, চিকিৎসকের কাঁধে শ্রমিকের লাশ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৫:২৫ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় প্রত্যেক মৃত্যুই আতঙ্কের। আপন মানুষগুলো মৃত ব্যক্তির কাছে যেতে চায় না। মৃতদের গোসল ও দাফন নিয়ে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়।

তবে এক্ষেত্রে মৃতের লাশ দাফনে হিরোর বেশে এগিয়ে এলেন এক চিকিৎসক। এমন ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার ফাজিল বেপারীরহাট এলাকায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসক রেজাউল করিম রাজিবের নেতৃত্বে চাঁন মিয়া (৪০) নামে এক মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হয়েছে। অবশ্যই জানাজা ও দাফনকাজে একদল স্বেচ্ছাসেবী ওই চিকিৎসকের সঙ্গে ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ধর্মীয় সব রীতিনীতি মেনে গোসল ও জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চাঁন মিয়ার লাশ দাফন করা হয়।

জানা গেছে, চাঁন মিয়া ফেনীর এক ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার তিনি ফাজিল বেপারীর হাট এলাকার বাড়ি ফেরেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে হঠাৎ তিনি মারা যান। করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে। পরে তার বাড়ি লকডাউন করা হয়।

এর আগে করোনা সন্দেহে গভীর রাত পর্যন্ত তার লাশ দাফন করা হয়নি। দাফনে এগিয়ে আসেনি আত্মীয়-স্বজন কিংবা এলাকাবাসী। একপর্যায়ে চিকিৎসক রেজাউল করিম রাজীব লাশ দাফনের উদ্যোগ নেন। করোনা আক্রান্ত কিংবা সন্দেহভাজন মৃত ব্যক্তির দাফনের জন্য স্থানীয়ভাবে গঠন করা স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে ছুটে যান ওই চিকিৎসক। পরে গোসল ও জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়।

জানতে চাইলে চিকিৎসক রেজাউল করিম রাজীব বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঁন মিয়া মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত তার লাশ দাফন হয়নি। বিষয়টি শুনে স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় বাড়িতে গিয়ে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী লাশ দাফন করা হয়।

কাজল কায়েস/এএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।