রাজন হত্যা : ২ বিচারকসহ ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ


প্রকাশিত: ০৯:৫৯ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৫
ফাইল ছবি

সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় অষ্টম দিনে দুই বিচারক ও চিকিৎসকসহ আরও চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিলেট মহানগর দায়রা জাজ আকবর হোসেন মৃধা আটক আসামিদের উপস্থিতিতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এ নিয়ে ২৯ জনের সাক্ষ্য শুনলেন আদালত।

এ মামলায় বৃহস্পতিবার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে বলে জানান মহানগর জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী।
বুধবার সাক্ষ্য দেন সিলেট মহানগর হাকিম মো. সাহেদুল করিম, আনোয়ারুল হক, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক তাহমিনা ইসলাম ও জালালাবাদ থানার পুলিশ সদস্য ফয়সল আহমদ মামুন।

বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণের পর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন পিপি মফুর আলী। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মোট ৩৮ জনের জাবানবন্দি শুনবেন আদালত।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মসরুর আহমদ চৌধুরী শওকত জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার আরও চারজনের সাক্ষগ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন বিচারক আছেন যারা দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় দেয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে বুধবার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ১০ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

তারা হলেন, শহরতলির কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মুহিত আলম ওরফে মুহিত, তার সহোদর আলী হায়দার ওরফে আলী, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেলকে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামি সৌদি প্রবাসী কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে চার্জ গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুলসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন।

গত ৩১ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়সীমার মধ্যে পলাতকরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত বিচারিক কাজ শুরুর লক্ষ্যে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন।

গত ২৪ আগস্ট একই আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী পরদিন ২৫ আগস্ট জালালাবাদ থানা পুলিশ তিন পলাতক আসামিদের মালামাল ক্রোক করে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
    
ছামির মাহমুদ/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।