দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার প্রবেশদ্বারে তল্লাশি চৌকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ১০:০৯ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০

ঢাকা ছাড়া আরও ২৬ জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলাও রয়েছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা সীমান্তে সড়কপথে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হয়েছে। সরকারের বিধি-নিষেধ অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা গাড়ি এ জেলায় প্রবেশ করতে গেলেই তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা।

শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যানবাহন চলাচল ও সাধারণ মানুষের চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। ওই তল্লাশি চৌকিতে দিনভর একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে যনবাহন ও মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া ব্যক্তিদের করা হয় জরিমানা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন জানান, দেশের কয়েকটি জেলায় করোনাভাইরাসের বিস্তার বেশি ঘটেছে। ফলে ওই সব এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে কর্মরত লোকজন নিজ নিজ জেলায় ফিরছেন এবং ফেরার চেষ্টা করছেন। সেসব এলাকা থেকে কেউ বরিশালে ফিরলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। বরিশালকে করোনা ঝুঁকিমুক্ত রাখতে জেলার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলার সব প্রবেশপথে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এরই ধরাবাহিকতায় জেলার ভূরঘাটা সীমান্তে সড়কপথে তল্লাশিচৌকি ও সিমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।

jagonews24

এ সময় আইন অমান্য করায় ৫ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া পুলিশের সহায়তায় করোনাভাইরাসে প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সুবিধা–অসুবিধার খবর রাখা ও গুজব প্রতিরোধে দিনভর জেলার সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়।

এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় জেলা প্রশাসনের দুই জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) সুব্রত কুমার বিশ্বাস জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা ও মো. মারুফ দস্তগীরের নেতৃত্বে নগরী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে ১৩ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে যানবাহন ও মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে জেলার সবকটি প্রবেশপথসহ অর্ধশতাধিক স্থানে মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া কোনো যানবাহন জেলায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

সাইফ আমিন/এফএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।