অযথা ঘোরাঘুরি বন্ধে যুবকদের শপথ করালেন ম্যাজিস্ট্রেট

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ১০:১৫ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে বের হচ্ছেন অনেকে। এমন অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা। এবার অযথা ঘোরাঘুরি বন্ধে পাঁচ যুবককে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় তিনি ওই যুবকদের শপথ বাক্য পাঠ করান। সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম নিজের ফেসবুকে ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। প্রশংসা করে মন্তব্য করেন অনেকেই। এর শিরোনাম লেখেন ‘আর কি কি করলে আপনারা বাসায় থাকবেন। কোনো আইডিয়া?’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জনস্বার্থে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এমন ইতিবাচক কাজ থেকেও যদি আমরা কিছু শিক্ষা নিতে পারি তাহলে করোনা প্রতিরোধে ভালো ফল আসবে।

শপথ নেয়া যুবকরা তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানান, করোনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে সকলেরই উচিত সরকারি নির্দেশনা অনুসারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ঘরে অবস্থান করা।

এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার পর অনেকেই তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্তব্য লিখেছেন । সোহাগ হোসেন নামে একজন লিখেছেন- ‘রাস্তায় করোনা রোগী ছেড়ে দেও বন্ধু, তাহলে এরা বাড়ি থাকবে।’

আমজাদ হোসাইন অর্ণব লিখেছেন- ‘ওয়াও! খুবই ভালো উদ্যোগ।’

মো. মাজেদুর রহমান লিখেছেন-‘এদেরকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে লাগানো যায়। লোকজন এখনো বাজার করতে বের হইতেছে, বাজার করতেই হবে কিছু করার নাই। কিন্তু বেশিরভাগ লোকজনই ২-৪ দিনের জন্য বাজার করে! শুকনো খাবার কমপক্ষে ২০ দিনের এবং কাঁচাবাজার ৭ দিনের করা উচিত। আমার মনে হয় প্রতিটা এলাকাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সবার বাসায় বাজার পৌঁছানোর কাজ করা যায়।’

শাহেদ আহমেদ নামে একজন লিখেছেন- ‘যারা বের হবে বিনা প্রয়োজনে তাদেরকে ধরে করোনা হাসপাতালে ডিউটিতে দিয়ে দেও বন্ধু তাহলে সবাই ভালো হয়ে যাবেনে। সারাদেশে এটাই করা দরকার,ওয়াদা তো একটু পরেই ভুলে যাবে।’

জান্নাতুল মিতু নামে নারী লিখেছেন- এই বয়সে ছেলেগুলো ঘরে থাকতে চায় না, কোনোভাবেই এদেরকে ঘরে রাখা যায় না, নৈত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ঘরে থাকা পড়েও এরা প্রতিদিন কোনো না কোনো বাহানা দিয়ে বাইরে যাবে,
আমার মতে, এদের দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করানো যেতে পারে, কাজের ভয়ে যদি ঘরে থাকে।’

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া এবং জনগণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে আমরা মাঠে কাজ করছি। এরই অংশ হিসেবে সতর্ক করতে তাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছি। যেন তারা ঘর থেকে বের না হয়।

কামাল উদ্দিন/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।