গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার চাল কিনছেন ক্রেতারা
কুড়িগ্রাম জেলায় ২৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম পৌরসভা এলাকায় ২০ জন ডিলার ১০টি পয়েন্টে এবং পৌরসভার বাইরে ৩ জন ডিলারের মধ্যে নাগেশ্বরীতে ২ জন এবং উলিপুর উপজেলায় একজন ডিলার ১ টন করে চাল বিক্রি করছেন।
সপ্তাহে রোবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ওএমএস চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি পরিবার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিয়ে চাল বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারছেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
মঙ্গলবার পৌর এলাকার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, পৌরসভা ও ভকেশনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব না মেনে গায়ে গা ঠেকিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল সংগ্রহ করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে নিজেদেরকে ঝুঁকি’র মধ্যে ফেলছেন ক্রেতারা। এমনকি সকাল ১০টার মধ্যে ওএমএস কেন্দ্র খোলার কথা থাকলেও ৯টা থেকেই লোকজন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে। এছাড়া বিতরণে লোকবল কম থাকায় চরম অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা গেছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সমস্যগুলোর কথা স্বীকার করে জানান, শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তারা শৃংখলার দায়িত্ব নিলে এই সমস্যা থাকবে না। একই সঙ্গে ভোগান্তি কমিয়ে আনতে প্রকৃত উপকারভোগীদের তালিকা সংগ্রহ করে কার্ডের মাধ্যমে চাল বিক্রি কার্যক্রম চালানো হবে।
নাজমুল হোসেন/এফএ/জেআইএম