চাঁদপুরে ব্রি ধান-৬২ জাতের বীজের অধিকাংশই নষ্ট
চাঁদপুর জেলায় ব্রি ধান-৬০ জাতের বীজ সহায়তার প্রদর্শনীর অধিকাংশ জমিই নষ্ট হয়ে গেছে। এবার অতি বর্ষণে জলাবদ্ধতায় কারণে সময়মতো বীজতলা তৈরি করে চারা রোপণ করতে না পারায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেক কৃষক প্রদর্শনী করেননি।
আবার পানি নেমে গেলে দেরিতে অনেক কৃষক চারা রোপণ করায় ধানে আগাম ছড়া গজিয়েছে। ফলে ফলন না হওয়ার সম্ভানাই বেশি। চাঁদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম জাগো নিউজকে জানান, জেলায় এবার আমন মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রি ধান-৬২ জাতের বীজ সহায়তা দিয়ে ৬০টি প্রদর্শনী জমি চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের ধান একশো দিনে ফলন এসে কর্তন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু এবার অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে সময়মতো বীজতলা তৈরি করে কৃষকরা চারা রোপণ করতে পারেনি। যার জন্য চাঁদপুরে তিনটি উপজেলার অধিকাংশ জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেকে চারা রোপণ করেনি। কৃষকরা যারা পানি নামার পর দেরিতে চারা রোপণ করেছেন, তাদের জমিতে আগাম ধানের ছড়া গজিয়েছে। ফলে এসব বীজ সহায়তার ব্রি ধান-৬২ জাতের ধানের উৎপাদনে মারাত্মক বিপর্যয় হবে।
হাইমচর উপজেলায় পাঁচটি প্রদর্শনী জমির মধ্যে তিনটি জমি করলেও তা নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি দুটি জমি করা সম্ভব হয়নি। চাঁদপুর সদরের ১৫টি প্রদর্শনীর মধ্যে বেশির ভাগই জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে গেছে। যারা দেরিতে বীজতলা করে লাগিয়েছেন, তাদের জমিতেও আগাম ধান গাছে ছড়া এসেছে। এতে কৃষকদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।
তবে মতলব উত্তর ও কচুয়া উপজেলায় ব্রি ধান-৬২ জাতের ফলানো ফসল ভালো হয়েছে বলে জানান আব্দুল কাইয়ূুম। এদিকে কৃষকরা তাদের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ইকরাম চৌধুরী/এমজেড/এমএস