কুয়াকাটায় ট্রলারে গণডাকাতি, ৭ জেলে গুলিবিদ্ধ
পটুয়াখালীর মহিপুর সংলঙ্গ বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটার ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার ভিতরে দক্ষিণ সুন্দরবন, ফ্রেরার বয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে জেলেদের মাছ ধরার ট্রলারে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাত জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এ ডাকাতি চলে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, মনসুর হাওলাদার, মান্নান মৃধা, আমির হোসেন, আসন আলী, শাহ আলম, ফয়জাল এবং কাইয়ুম। এদের মধ্যে ৬ জনকে কুয়াকাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জেলেরা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ট্রলার এফবি সাকিল, এফবি রহমান, এফবি জাহানারা, আল মদিনা, এফবি মার্জিয়া, এফবি মার্জিয়া আবসার রিয়াসহ প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ট্রলার এক জায়গায় অবস্থান করছিলো। এ সময় হঠাৎ এক দল ডাকাত তাদের চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে গুলি করে ডাকাতি শুরু করে। ডাকাতি শেষে অর্ধ-শতাধিক জেলে ও মাঝিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
অপহৃতদের মধ্যে রয়েছে মহিপুরের মিলন মাঝি, ফারুক মাঝি, রব মাঝি, মোজ্জাম্মেল মাঝি, নয়া মাঝি, আলামিন, আবুল কালাম, সোবাহান, রমজান, শাকুর। তবে বাকিদের নাম এখনো জানা যায়নি।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, গণডাকাতি শেষে এফবি মার্জিয়া আবসার রীমা এবং এফবি রশনীসহ চারটি ট্রলার ছিনতাই করে অর্ধ-শতাধিক জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।
র্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবীর জানান, অপহৃত জেলেদের নিয়ে যাতে জলদস্যুরা সুন্দরবনে ঢুকতে না পারে সেজন্য তারা সুন্দরবনে প্রবেশের প্রধান প্রধান পয়েন্টে নজর রাখছেন। এছাড়া অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে জানান, জেলে অপহরণের বিষয়টি তারা শুনেছেন। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এসএস/এমএস