ম্যাজিস্ট্রেট দেখলেন ইটের গুঁড়া দিয়ে বানানো হচ্ছে হলুদ
ইটের গুঁড়া, পশু খাদ্য এবং নিম্নমানের হলুদ দিয়ে তৈরি করা হয় ‘খাঁটি হলুদের গুঁড়া’। সেই ভেজাল হলুদ প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে বগুড়া, শিবগঞ্জসহ আশেপাশের এলাকায় বিক্রি করছেন শুকুর আলী নামের এক হলুদ ব্যবসায়ী।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার উথুলী শরতলী বাজার এলাকার হলুদের মিলে এ ঘটনা ঘটছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু কেউ তা জানেন না। এরমধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সবাই যখন আতঙ্কিত, তখনও বসে নেই অসাধু ওই ব্যবসায়ী।
বুধবার দুপুরে গোপন সংবাদে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবীরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে গিয়ে দেখতে পান ইটের গুঁড়া, পশু খাদ্য এবং নিম্নমানের হলুদ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল হলুদের গুঁড়া। পরে আদালতের সঙ্গে থাকা পুলিশ সেখান থেকে দুই শ্রমিক পুটু মিয়া (৩৮) ও মামুনুর রশিদকে (২০) আটক করে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্ত ২ জনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং ভেজাল হলুদ তৈরির মিলটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে অভিযানের সংবাদ শুনে কারখানা মালিক শুকুর আলী পালিয়ে গেছেন।
এমএএস/এমকেএইচ